
যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেছেন, বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ভাল ভাল দিক এবং উন্নয়নমূলক কাজের বেশি বেশি প্রচার প্রচারণা হওয়া দরকার। প্রশংসামূলক প্রচারে কাজের গতি বাড়ে, মানসিকতায় পরিবর্তন আনে। এমনকি অনেক খারাপ মানুষ ভাল হয়ে যেতে পারে।
২৭ মে সকালে যশোর সার্কিট হাউসের কন্ফারেন্স রুমে পরিবার পরিকল্পনা যশোর আয়োজিত অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পরিকল্পিত পরিবার গঠন, বাল্যবিয়ে ও কৈশর গর্ভধারণ রোধ, প্রজনন স্বাস্থ পুষ্টি, নিরাপদ মাতৃত্ব ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রচার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে যশোরের সাংবাদিকদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অবহিতকরণ কর্মশালায় পরিবার পরিকল্পনা যশোরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক ডাক্তার মুনশী মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার হারুন অর রশিদ। সেশন পরিচালনা করেন শার্শা উপজলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কথা বলেন যশোর সদর উপেজলা পরি.পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডাক্তার শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা। কর্মশালায় অবহিত করা হয়, এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত যশোরে গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন ১৮ হাজার ৪শ’ ৩৪জন। যশোরে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। এখানে হাজারে ৩৩ জন শিশু মারা যাচ্ছে। এর আগে চিত্র খারাপ ছিল। জন্মনিয়ন্ত্রণ শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য, প্রজনন সচেতনতা নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আবাসন প্রকল্প, আশ্রায়ন প্রকল্প, আদর্শ গ্রাম প্রকল্প, গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প ও আশ্রয়ন প্রকল্প ফেইজ টুতে কাজ করছে। বাল্যবিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। কৈশরের প্রজনন সাস্থ্য সচেতন করা ছাড়াও পদ্ধতি গ্রহণে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয় অবহিতকরণ কর্মশালায়।