
তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির জন্য তাগিদ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে তিস্তা চুক্তি ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের তাগিদ দেয়া হয়।
শনিবার (১৫ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাজিকিস্তানে একটি সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার (১৪ জুন) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ড. মোমেন এই তাগিদ দেন।
কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে তাজিকিস্তান গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে স্থানীয় হোটেল সেরিনায় এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর জয়শঙ্করের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম সাক্ষাৎ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন বৈঠকে।
তারা আশা প্রকাশ করেন, এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে। বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে ড. মোমেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোর সরকার পরিণত সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করেছে।
ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রবেশদ্বার হিসেবে বাংলাদেশের অনন্য সম্ভাবনা ও ভূ-কৌশলগত সুবিধার কথা উল্লেখ করে ড. জয়শঙ্কর বলেন, বিমসটেককে শক্তিশালী করলে তা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশে প্রায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে ড. জয়শঙ্করের সহযোগিতা কামনা করেন।