
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সিলিমপুর ইউনিয়নে বি.জি.এফ এর চাউল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জনপ্রতি ১৫ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে১৩ থেকে ১৪ কেজি করে চাউল বিতরন করা হয়েছে। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাদের অভিযোগ মেম্বারদের স্বজন প্রীতির কারনে প্রকৃত হত দরিদ্ররা চাউল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাবেক মেম্বার সিকদার মো:শাহিনুর ইসলাম(শাহীন) বলেন, আমরা যদি মেম্বার হয়ে দূর্নীতি করি তা হলে কী আমরা মূল্যায়ন পাব আর জনগণের সেবক হয়ে তাদের যদি সেবা না করি তবে তারা কী আমাদের মূল্যায়ন দেবে। কার্ড দিতে না পারুক কিন্তু অসহায় ও হতদরিদ্রদের শান্তনা তো দিতে পারবে। আমাদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার জামিল মাহমুদ তফিজউদ্দিন সে কাউকে শান্তনা পর্যন্ত দেয় নাই বরং যারা কার্ড পাওয়ার যোগ্য তাদের কার্ড না দিয়ে সে তার স্ত্রী ও তার আত্মীয় স¦জনদের দিয়েছে।
সোনা মিয়া নামে এক বাজার ঝাড়–দার বলেন, আমি ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কিন্তু আমাকে মেম্বার কোন কার্ড দেয় নাই। আমি দিন আনি দিন খাই।
আরেক অভিযোগ কারি হাবিবা বেগম বলেন,আমার স্বামী নাই। আমি খুব দরিদ্র তারপরেও আমি কোন কার্ড পাই নাই।
আরো অনেক লোক নাম প্রকাশে অনচ্ছুক তারা বলেন,যারা দূর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং তারা অতি দরিদ্রদের মাঝে কার্ড বিতরণ না করে বরং কার্ড নিয়ে স্বজনপ্রীতি করেছে যেটা আসলে আমরা কখনো কাম্য করি নাই।
এছাড়া ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রওশনারা বেগম কার্ড পেয়েছে ৮০টি তার মধ্যে ৪৬টি কার্ড বিক্রি করেছে। এবং ৪,৫ ও ৬নং মহিলা মেম্বার লাইলি বেগম ১৭টি কার্ড বিক্রি করেছে ও ১নং মেম্বার জামিল মাহমুদ তফিজউদ্দিন ০৬টি কার্ড বিক্রি করেছে।
তারা আরো বলেন, তফিজউদ্দিন এলাকার হতদরিদ্রদের কার্ড না দিয়ে স্বচ্ছল লোকদের এবং একই ব্যক্তিকে ৩ থেকে ৪টি করে কার্ড প্রদান করেছে। তারা চাউল তুলে গেটের বাহিরে পাইকারদের কাছে চাউল বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে তফিজউদ্দিন মেম্বার বলেন,আমি কোন অনিয়ম করি নাই। আমি অসহায় ও হতদরিদ্রদের কেই কার্ড দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন,আমার ১নং ওয়ার্ডে অসহায় লোকের সংখ্যা বেশি। তাই সবাইকে কার্ড দিতে পারিনি।
মহিলা মেম্বার রওশনারা বেগমকে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি ইউনিয়ন পরিষদে এসে আপনাদের সাথে কথা বলছি
দশ মিনিটের কথা বলে উনি আর ইউনিয়ন পরিষদে আসেননি। পরে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আর ফোন ধরেননি।
এ ব্যাপারে সিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো:সাদেক আলী বলেন, মহিলা মেম্বার রওশন আরা ও লাইলি বেগম এবং ১নং মেম্বার জামিল মাহমুদ তফিজউদ্দিন কার্ড বিক্রি করার কথা সত্যতা শিকার করেন তিনি এবং বিষয় টি আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি । এদের বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।