
চাকরির তদবিরের জন্যি দুন্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশুনার সাইজে খোদ স্বরাষ্টমুন্ত্রীরে ফোন করিল এক স্যায়না ছাবাল। মনে করিল, মুন্ত্রী মহোদয় তার চালাকি ধত্তি পারবেনা। কিন্তুক কপালের ফ্যার, দুদকের যে কমিশুনার সাহেবের নাম কইরে ফোন করা হইলো, তিনি এক সুমায় স্বরাষ্টমুন্ত্রণালয়েরই সচিব ছিলেন। মুন্ত্রী সাহেব তকনতেই তার গলা চেনতেন। ফোনে আনকা লোকের গলা শুইনে পেত্তমেই তার খটকা লাগিল। তক্কনি পুলিশরে খবর দিলি ডিবি পুলিশ নকল কমিশুনাররে কট কইরে নিয়ে আসে।
পরে জানাজানি হয়, নকল কমিশুনারের নাম মাহমুদুল হাসান সুমন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরে। তার কাচেত্তে এট্টা আইডি কাড তলাশ কইরে পাইয়েচে পুলিশ। তাতে লিকা আছে, আমেরিকার রিগ্যান ইনভিস্টিগিশোনস নামের এট্টা সুংস্থার বাংলাদেশের পোধান ইনভিস্টিগিটর তিনি। একই সাতে তিনি পিরাইভেট ইনভিস্টিগিটর বিলেও পরিচয় পত্তরে উল্লেক করা হয়েচে। হ্যাতো পরিচয় জানার পরও পুলিশির খাতায় তার নাম উটেচে পোতারক হিসেবে। ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট মুন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কম্মকত্তা শরীফ মাহমুদ চাচা মিডিয়ারে কইয়েচেন, কালকে একজন দুদক কমিশুনার মোজাম্মেল হক খান পরিচয় দিয়ে মুন্ত্রী মহোদয়রে ফোন করিল। ফোন কইরে তিনি স্বরাষ্ট মুন্ত্রীরে পিরাথমিক ও গণশিক্কে পোতিমুন্ত্রী জাকির হোসেন চাচারে ফোন করে পিরাইমারী ইশকুলি একজনরে মাইস্টের হিসেবে নিয়োগের জন্যি তদবির করার অনুরোধ জানান। মুন্ত্রী মহোদয় গলা শুইনে সন্দেহ হওয়ায় সচিব সাহেবরে ফোনডা চেক কত্তি দেন। সচিব সাহেবেরও সন্দেহ হলি মুবাল নম্বরডা পুলিশরে দিলি ডিবি পুলিশ ঝনাত খচাত তারে ধইরে স্বরাষ্ট মুন্ত্রণালয়ে নিয়ে আসে। পরে তারে ধইরে নিয়ে যাওয়া হয় দুদকের আসল কমিশুনার সাহেবেরে কাচে।
কও দিনি বাপু, প্যাটের পিলে কত বড় হলি হ্যাতো বড় জোচ্চুরি কত্তি সাহস পায়! আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩