শিরোনাম |
এবার শিয়ালের মাংস বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন এক ব্যক্তি। তাকে গুনতে হয়েছে জরিমানা ও যেতে হয়েছে কারাগারে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল বাশার (৫৫) সেনবাগ উপজেলার মজেদীপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার চৌমুহনী বাজারের ব্যাংক রোডে অভিযান চালিয়ে এ দন্ডাদেশ দেন বেগমগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার ও র্যাব-১১ সিপিসি-৩ স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ। র্যাবের একটি আভিযানিক দল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, চতুর ব্যবসায়ী আবুল বাশার অধিক মুনাফা লাভের আশায় জনসাধারণকে কথার মায়াজালে ফাঁসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ শেয়ালের মাংসকে ওষুধি গুনাগুন সম্পন্ন মাংস হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি প্রকাশ্যে বিক্রি করে আসছিলেন। বুধবার বিকেলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহায়তায় চৌমুহনী বাজারের ব্যাংক রোডে যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এসময় তারা অপরাধী ও প্রতারক আবুল বাশারকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৫৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং এক হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো তিনদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।