gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪ ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ ভৈরবে দুই ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষ

নিহত অর্ধশত হওয়ার শঙ্কা
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর , ২০২৩, ১২:১০:০০ এ এম , আপডেট : বুধবার, ৮ মে , ২০২৪, ০৪:২২:৪৫ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2023-10-23_65369f3a73aef.webp

কিশোরগঞ্জের ভৈরব জংশনে যাত্রীবাহী এগারো সিন্ধুর গোধূলী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী একটি ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অগনিত। নিহতের সংখ্যা অর্ধশত হতে পারে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, লাইনচ্যুত বগি থেকে এখন শুধু লাশ উদ্ধার হচ্ছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব জংশনের কাছাকাছি গাইনাহাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উল্টে যাওয়া বগির নিচে অনেক যাত্রী চাপা পড়েছে। এ ছাড়া রেললাইনের ওপর অনেকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আলীম হোসেন সিকদার।
ঢাকায় ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের আট ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১৫ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের আট ইউনিট পাঠানো হয়। আরও ইউনিট প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একে একে ২৩টি মরদেহ উদ্ধার করেন।
উদ্ধার অভিযান এখনো চলমান জানিয়ে তিনি বলেন, আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ভৈরবে যাত্রীবাহী এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেন ও মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে এখন ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনের নিচে এখনো অনেক মরদেহ চাপা পড়ে আছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘটনাস্থল থেকে এখন ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনের নিচে এখনও অনেক মরদেহ চাপা পড়ে আছে। এ কারণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্দুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। মূলত সিগনালিংয়ের কোনো জটিলতার কারণে এমন ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। উদ্ধার কাজের জন্য ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন রওনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি।
এদিকে, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফছার উদ্দিন বলেন, উদ্ধার কাজের জন্য রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রিলিফ ট্রেনে করে ভৈরবের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। উদ্ধার কাজ শেষ হলে তারপরে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
রেলওয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। অন্যদিকে বিপরীত দিক থেকে এগার সিন্ধুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগার সিন্ধুর ট্রেনের শেষের দুই তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। এদিকে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় করে। উপস্থিত হয়েছেন দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে থাকা যাত্রীদের স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, স্টেশনে মাস্টারের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেল ৩টার দিকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ভৈরব স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এগারসিন্দুর বেশ কয়েকটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়।
ভৈরবের স্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

আরও খবর

🔝