gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪ ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস আজ
প্রকাশ : সোমবার, ১১ ডিসেম্বর , ২০২৩, ০২:১১:০০ পিএম , আপডেট : বুধবার, ৮ মে , ২০২৪, ০১:২৬:৪৫ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2023-12-11_6576a6c4eb277.jpg

আজ টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর বাংলার সূর্যসেনারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে টাঙ্গাইলকে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও পলায়নের মধ্যে দিয়ে মুক্ত হয়েছিল টাঙ্গাইল।
সারারাত মুক্তিযোদ্ধাদের সারাশি আক্রমণ ও প্রচণ্ড গোলাগুলিতে বিনিদ্র রাত কাটায় শহর ও শহরতলির লোকজন। অবশেষে সে কাঙ্খিত মুহূর্তটি ঘনিয়ে আসে। ধবংসস্তুপের মধ্যে দিয়ে স্বজন হারাদের বিয়োগ ব্যথা ভুলে হাজার হাজার উৎফুল্ল জনতা রাস্তায় নেমে প্রাণের স্পন্দন আর মুক্তির আনন্দে উদ্বেল হয়ে নবজন্মের সেই মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে তোলে।
মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইল নানা দিক থেকে অসামান্য ইতিহাস সৃষ্টি করে। এখানকার অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতাপূর্ণ যুদ্ধের কাহিনি দেশের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত ও পরিচালিত 'কাদেরিয়া বাহিনী'র বীরত্বের কথা স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর পরই দেশ শত্রম্নমুক্ত করতে টাঙ্গাইলে গঠন করা হয় স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ। ২৬ মার্চ টাঙ্গাইল থানায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।
৮ ডিসেম্বর পরিকল্পনা করা হয় টাঙ্গাইল আক্রমণের। পরে কালিহাতীর পুংলি নামক স্থানে মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সংর্ঘষ হয় পাক সেনাদের। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাণ ভয়ে পাক সেনারা সারারাত ধরে টাঙ্গাইল ছেড়ে ঢাকার দিকে পালায়।
১০ ডিসেম্বর রাতে টাঙ্গাইলে প্রবেশ করেন কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক। ১১ ডিসেম্বর সকালে কমান্ডার বায়োজিদ ও খন্দকার আনোয়ার টাঙ্গাইল পৌঁছান। আসেন বিগ্রেডিয়ার ফজলুর রহমান। সার্কিট হাউজে অবস্থানরত খান সেনারা কাদের সিদ্দিকীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।মুক্ত হয় টাঙ্গাইল জেলা।

আরও খবর

🔝