gramerkagoj
বুধবার ● ৮ মে ২০২৪ ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
দুপুরের আগে সূর্যের দেখা মেলে না নীলফামারীতে
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর , ২০২৩, ০৩:১২:০০ পিএম
নীলফামারী সংবাদদাতা:
GK_2023-12-14_657ac1592bb66.jpg

শীত জেঁকে বসেছে নীলফামারীতে। এই জেলায় প্রতিদিনই দুপুরের পর সূর্যের দেখা মেলে। কিন্তু রোদে নেই প্রখরতা। গত সপ্তাহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যা নামলেই পুরো জনপদ কুয়াশায় ঢেকে যায়। ১০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না ঘন কুয়াশায়। এতে করে দিনের বেলায়ও চলতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে লাইট জ্বালিয়ে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ। ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা কাজে বের হতে না পেরে অনেকে বাড়িতেই থাকছেন। নদী এলাকায় এই কুয়াশা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
শীত নিবারণে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষেরা শীতবস্ত্র রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
ভ্যান চালক মজিবর বলেন, কুয়াশায় গাড়ি নিয়ে বের হলেও ভাড়া হয়না। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। গরিব মাইনষের শীত অনেক কষ্টের।
জেলা সদরে লক্ষ্মীচাপ এলাকার ললিত চন্দ্র রায় বলেন, ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। তবু সবজি তুলে বাজারে বিক্রি করতে হবে। না হলে সংসার চলবে কি করে।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান জানান, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বেশি শিশু ভর্তি হচ্ছেন।
এদিকে জানা যায়, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র হিসেবে জেলার ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভায় ২৫ হাজার কম্বল পাঠিয়েছে। এখনও প্রায় পাঁচ হাজার মজুত আছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই-এক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যাবে।

আরও খবর

🔝