gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত : ইসি আনিছুর
প্রকাশ : রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর , ২০২৩, ০২:৩৩:০০ পিএম , আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ০২:৪৮:৩০ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2023-12-31_65911eb156073.jpg

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক করতে হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক, ব্যবসায়িকসহ সবকিছু থমকে যাওয়া সম্ভাবনা আছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আনিছুর রহমান বলেন, মাত্র ছয় দিন বাকি। সপ্তম দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা শুধু আমাদের দৃষ্টিতে এই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন বললেই হবে না। নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করার জন্য আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ৮৩৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব পালন করার জন্য সরকার নিয়োজিত করেছে। আমরা বলতে চাই, নির্বাচনকে যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে ২৮ নভেম্বর থেকে আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রচেষ্টার কোনো শেষ নেই। আমরা সব ধরনের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে মাঠে কাজ করব। তবে অন্যান্য যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় এখন পর্যন্ত সহিংসতা খুব কম হয়েছে। সাথে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনও তুলনামূলক কম হয়েছে। তাতে আমরা তো আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আমরা চাচ্ছিলাম আরও কম হোক। সম্ভব হলে এটা জিরো টলারেন্সে নেওয়া উচিত ছিল।
ইসি আরও বলেন, সারাদেশে দুই হাজারের উপরে প্রার্থী আছেন। যাদের সবার মানসিকতায় ভিন্নতা রয়েছে। এলাকা ভিত্তিক মানুষের ভিন্নতা রয়েছে। কোন জায়গায় ছোট একটি ইস্যু নিয়েও বড় সমস্যা হয়ে যায়। এসব কারণে আমরা মনে করি, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য আপনাদের (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের) ভূমিকা পালন করতে হবে। আপনারা আগামী পাঁচ দিনের জন্য নিয়োজিত হবেন। এই সময়ে আপনাদের মূল কাজ হবে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা। বিশেষ করে ভোটের আগে পরে অনেক সময় মিথ্যা সংবাদও পাওয়া যায়। এসব বিষয়ে নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।

আরও খবর

🔝