শিরোনাম |
যশোরে ছুরিকাঘাতে পিতা-পুত্রকে জখমের মামলায় দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেছেন আাদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। রোববার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এই রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার চাঁচড়া খামারপাড়ার কার্তিক ঘোষের ছেলে স্বপন ঘোষ ও সনদ ঘোষ।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন একই গ্রামের বাসিন্দা ফটিক ঘোষ ও তার মেয়ে স্বপ্না ঘোষ।
মামলা সূত্রে জানা যাায়, উল্লিখিতরা একই গ্রামের বাসিন্দা গনেশ ঘোষের প্রতিবেশী। তারা বৈদ্যুতিক লাইন নেয়ার জন্য গনেশ ঘোষের বাড়ির উঠানে বাঁশের খুটি ব্যবহার করেন। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আশংকায় গনেশ ঘোষ তাদেরকে বাড়ির উঠান থেকে বাঁশের খুটি সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। এই নিয়ে ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল দুপুরে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের মুদি দোকানের সামনে পেয়ে আসামিরা গনেশ ঘোষ ও তার ছেলে কিশোর ঘোষের ওপর হামলা চালান। তারা তাদেরকে মারধর এবং ছুরিকাঘাতে জখম করেন। পরে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন স্বপন ঘোষ, সনদ ঘোষ, ফটিক ঘোষ ও স্বপ্না ঘোষকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন আহত গনেশ ঘোষের আরেক ছেলে পলাশ কুমার ঘোষ।
ওই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি স্বপন ঘোষকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং আসামি সনদ ঘোষকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি ফটিক ঘোষ ও তার মেয়ে স্বপ্না ঘোষকে খালাস দেয়া হয়েছে।