gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
‘আমদানি না করেও কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে’
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ০৬:৫৮:১৭ পিএম
ঢাকা অফিস::
1614085234.jpg
বিগত কয়েক বছর আমদানি ব্যতিরেকে নিজস্ব উৎপাদনের মাধ্যমে কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত পশু থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।তিনি বলেন, এক সময় বিদেশ থেকে গবাদিপশু আমদানি না করতে পারলে কোরবানির সময় সংকট সৃষ্টি হতো। কিন্তু এখন আমদানি না করেই পশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে। প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটা একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এসব কিছুই গবেষণাধর্মী অর্জনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) আয়োজিত জুনোসিস এবং আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ খাত ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এ খাতে কাজের ক্ষেত্র অনেক বেশি সম্প্রসারিত। এর মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, উদ্যোক্তা তৈরী, বেকারত্ব দূর করা, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করা এবং মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদার বিশাল যোগান দেওয়া সম্ভব। পাশাপাশি মাংস, ডিমসহ দুধ থেকে উৎপাদিত প্রাণিজাত পণ্য রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, যাদের অবদানের কারণে এ বাংলাদেশ, তাদের কথা মাথায় রেখে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। সততা ও নীতি-নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। মূল্যবোধের জায়গা ফিরিয়ে আনতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। ক্ষমতার খুব কাছে থেকে নিজেকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার যে কৃতিত্ব, ক্ষমতা হাতে পেয়ে ক্ষমতা অপব্যাবহারে সে কৃতিত্ব নেই। অর্থ ব্যয় না করে মেধা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাঝেই কৃতিত্ব।বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য ও আলোচ্য প্রকল্পের কার্যক্রম সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ।উল্লেখ্য, বিএলআরআই এর জুনোসিস এবং আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রকল্পের অন্যতম প্রধান কার্যক্রম হল প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং নিরাপদ প্রাণিজাত খাদ্য তথা দুধ, ডিম এবং মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বায়োসেফটি লেভেল-৩ (বিএসএল-৩) জুনোসিস ও আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগ গবেষণাগার নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে লাগসই ও কার্যকরী প্রযুক্তি এবং অঞ্চলভিত্তিক প্রাণিরোগ নিয়ন্ত্রণ মডেল উদ্ভাবনের মাধ্যমে আর্থিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান জুনোসিস ও আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগসমূহ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এতে নিরাপদ দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে

আরও খবর

🔝