gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
মিয়ানমারে সহিংসতা: জাতিসংঘের তীব্র নিন্দা
প্রকাশ : সোমবার, ১ মার্চ , ২০২১, ০৩:৩১:৫৮ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
1614591391.jpg
মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সামরিক বাহিনীর গুলিতে ১৮ জনের নিহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা না দিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনরতদের উপর সামরিক বাহিনীর হামলা চালানোর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। ইয়াঙ্গুন, দাওয়াই, মান্দালয়সহ বেশ কয়েকটি শহরে নিরাপত্তা বাহিনী, গ্রেনেড ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে তারা।এদিকে, দেশটির বিরুদ্ধে নতুন করে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে মিয়ানমারের জনগণের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ সময় ধরে চলা প্রতিবাদ বন্ধে রোববার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় মিয়ানমারের পুলিশ। এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিক্ষোভ দমাতে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার ও স্টান গ্রেনেডের পাশপাশি ফাঁকা গুলি ছুড়ছে পুলিশ।গণমাধ্যমের পোস্ট করা বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে রক্তাক্ত বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সহযোদ্ধারা। তবে রাবার বুলেট নাকি সক্রিয় গুলিতে তারা আহত হয়েছেন, সেবিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলেনি।স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, পুলিশকে বাধা দিতে বিভিন্ন সড়কে বেরিকেড দেয় বিক্ষোভকারীরা। তবে তা ভেঙে দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। শনিবারও ইয়াঙ্গুলে পুলিশি হামলার শিকার হন গণতন্ত্রপন্থিরা। এসময় গুলিতে আহত হন এক নারী। আটক হন চারশতাধিক বিক্ষোভকারী।এরআগে, সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বক্তব্য দেয়ায় জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মো তুনকে বরখাস্ত করেছে দেশটির জান্তা সরকার। তুন দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে জানিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি জানায়, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়বদ্ধতা পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ব্যাপক জয় পেলেও তার স্বীকৃতি না দিয়ে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারবন্দি করে রাখে। এর পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিরতা চলছে।

আরও খবর

🔝