gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকিতে চলছে কেশবপুর উপজেলা পোস্ট অফিসের কার্যক্রম
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ , ২০২২, ০৯:২৫:২৫ পিএম
মোতাহার হোসাইন, কেশবপুর ব্যুরো :
1647357953.jpg
জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকির মধ্যে চলছে কেশবপুর উপজেলা পোস্ট অফিসের কার্যক্রম। ভবনের পিছনে পোস্ট মাস্টারের আবাসিক অংশ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। ছাদের ভীমে ফাটল ও পলেস্তরা খসে পড়া একটি কক্ষে পোস্টমাস্টার, পোস্টাল অপারেটর ও পোস্টম্যানরা ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন। পোস্টমাস্টারের মাথার ওপর বৈদ্যুতিক পাখার হুক ভেঙে ও পলেস্তরা খসে পড়ায় ঝুলে আছে বিদ্যুতের তার।  ১৯৮০ সালে কেশবপুর পৌরশহরের চার নম্বর আলতাপোল ওয়ার্ডের উত্তর অংশে হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন উপজেলা পোস্ট অফিসের নতুন ভবনের উদ্বোধন হয়। কেশবপুর পৌরসভা ও সদর ইউনিয়ন ছাড়াও আশপাশের ইউনিয়নের মানুষ ওই পোস্ট অফিস থেকে সেবা নিয়ে থাকেন। তাছাড়াও প্রতিদিন ২৪টি শাখা পোস্ট অফিসের চিঠিপত্র আদান-প্রদান ও অন্যান্য ডাকসেবার সমন্বয় করে থাকে উপজেলা পোস্ট অফিস। গত চার দশকে পোস্ট অফিসের দুই পাশের সড়ক দু’টি পর্যায়ক্রমে উঁচু হওয়ায় ভবনটি চলে গেছে দুই থেকে আড়াই ফুট নীচে। ফলে বর্ষাকালে ভবনের চারপাশে পানি জমে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে আবাসিক অংশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে অনেক আগেই। সামনের জরাজীর্ণ একটি বড় কক্ষের মধ্যে পোস্টমাস্টার, পোস্টাল অপারেটর ও পোস্টম্যানরা কার্য পরিচালনা করেন। কক্ষটির ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে ও ভীমে ফাটল ধরেছে বেশ আগে। ফলে বৈদ্যুতিক পাখা তিনটি খুলে রাখা হয়েছে। স্টাফরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই জরাজীর্ণ কক্ষে মানুষের ডাকসেবা দিয়ে আসছেন। যে কোনো মুহূর্তে ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন অনেকেই। পাশে ছোট একটি কক্ষে পোস্ট ই-সেন্টারে কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ চলে সারা বছর। কিন্তু ভবনের ভেতরে বা বাইরে প্রশিক্ষনার্থী ও সেবা প্রত্যাশীদের মলমূত্র ত্যাগ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত পোস্টাল অপারেটর পলাশ কুমার আইচ বলেন, গত বছর ছাদের পলেস্তরা ও পোস্টমাস্টারের মাথার ওপরের বৈদ্যুতিক ফ্যানটি হুকসহ খসে পড়ায় তিনি অল্পের জন্য জীবনে রক্ষা পান। যে কারণে অন্য তিনটি বৈদ্যুতিক ফ্যানও খুলে রাখা হয়েছে। অন্যান্য ডাক সেবা ছাড়াও শুধু সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত কাজে আসা ব্যক্তিদের প্রতিদিন কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়। গরমের মধ্যে ফ্যান ছাড়া প্রতিদিন কীভাবে কাজ চলবে সেই চিন্তায় পড়েছি। পোস্টমাস্টার রবিউল হক রয়েল বলেন, বর্তমান এ পোস্ট অফিসে জনবল সংকট আর ফাটল ধরা ভবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ভবনের ভেতরে ভালো কোন ওয়াশরুম নেই। পরিচিতজনরা ওয়াশ রুমের কথা বললে লজ্জায় পড়তে হয়। স্টাফরা নানান সংকটের মধ্যে প্রতিদিন আসে আর কাজ সেরে চলে যায়। পথচারীরা ভবনের পাশে মলমূত্র ত্যাগ করে। তাছাড়া বৃষ্টির পানি জমে স্যাঁতস্যেঁতে পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়। খুব সাবধানে ও কষ্ট করে এগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। যশোর বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনালের (ডিপিএমজি) মিরাজুল হক জানান, কেশবপুর উপজেলা পোস্ট অফিসের ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় নতুন ভবনের জন্য প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি নতুন ভবনের বরাদ্দ  আসবে বলে আশা করা যায়।

আরও খবর

🔝