gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
৭ মাস ধরে অকেজো দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের সেতু দুটি
প্রকাশ : বুধবার, ১৬ মার্চ , ২০২২, ০৪:৫২:০৮ পিএম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি::
1647427949.jpg
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট। এখানে যানবাহন পারাপারের জন্য রয়েছে ফেরি ও যাত্রী পারাপারের জন্য রয়েছে লঞ্চঘাট। দুই ঘাট ব্যবহার করে প্রতিদিন ৪-৫ হাজার যানবাহন, কয়েক হাজার যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে।জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রতিদিন ১৮-২০টি লঞ্চ চলাচল করে। এতে কয়েক হাজার যাত্রী লঞ্চে করে নদী পারাপার হয়ে থাকে। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ব্যবহার করার জন্য যাত্রীদের সুবিধার্থে কাঠ ও লোহার তৈরি আলাদা দুটি ছোট সেতু রয়েছে। কিন্তু গত বর্ষায় নদীভাঙনে সেতু দুটির একাংশ পদ্মায় ভেঙে পড়ে। এতে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সেতুটি। এরপর থেকে গুরুত্বপূর্ণ সেতু দুটি বন্ধ রয়েছে। ভেঙে যাওয়ার ৬-৭ মাস পেরিয়ে গেলেও বন্ধ সেতু দুটি মেরামতের তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। সেতু দুটি মেরামতের অভাবে দৌলতদিয়া লঞ্চ টার্মিনাল ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের। এছাড়াও যাত্রীদের ভারী মালামাল পরিবহন করতেও সমস্যা হচ্ছে।সরেজমিনে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সেতু দুটিই বন্ধ। একটি সেতু লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ ও অন্যটি বের হওয়ার পথ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। লঞ্চে ওঠানামার জন্য বর্তমানে বিকল্প যে পথ করা হয়েছে তা অনেক ঢালু ও উঁচু-নিচু। পথটি করা হয়েছে সেতুটির নিচ দিয়ে। বয়স্কদের এই পথ দিয়ে চলাচলের জন্য পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। ঝুঁকিপূর্ণ ওই পথ অতিক্রম করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে প্রায়ই যাত্রীরা আহত হচ্ছেন।পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যাত্রী সুমি আক্তার বলেন, আমার সঙ্গে ছোট ছোট দুটি বাচ্চা রয়েছে। সেইসঙ্গে ভারী ব্যাগ ও লাগেজ রয়েছে। উঁচুনিচু পথে শিশুদের ধরব নাকি ব্যাগ?ষাটোর্ধ্ব আকরাম হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, মাঝে-মধ্যেই এই রুট দিয়ে লঞ্চে আসা-যাওয়া করি। কিন্তু গত ৬-৭ মাস ধরে দেখছি লঞ্চ টার্মিনালে যাওয়ার সংযোগ ব্রিজ দুটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ব্রিজের নিচ দিয়ে করা হয়েছে টার্মিনালে যাওয়ার পথ। পথটা নিচু ও ঢালু হওয়ায় বয়স্কদের অনেক সমস্যা হয়।দৌলতদিয়া লঞ্চ টার্মিনালে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক আফতাব হোসেন বলেন, প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নদী পার হয়ে থাকেন। কাঠের ও লোহার তৈরি সেতু দুটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। সেতু দুটি বন্ধ হওয়াতে যাত্রীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএর) আরিচা অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, গত বছর বর্ষায় নদীভাঙনে লঞ্চঘাট ও সেতু দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের লঞ্চঘাটটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেতু দুটি মেরামত কাজে দেরি হচ্ছে।

আরও খবর

🔝