প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ , ২০২২, ১২:৫৪:১৭ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা এ কথা জানিয়েছেন। লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘আসানি’। নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া। আগামী ২২ মার্চ দিনগত মধ্যরাত থেকে ২৩ মার্চ দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ‘২১ মার্চ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হচ্ছে, যার সম্বন্ধে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো প্রায় শতভাগ নিশ্চিত। এ ঘূর্ণিঝড়টি হবে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাসে মার্চ মাসে সৃষ্টি হওয়ার প্রথম ঘূর্ণিঝড়।’তিনি বলেন, ‘১৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের উত্তর দিকে বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানা প্রথম ঘূর্ণিঝড় হবে এটি। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে, এ বিষয়ে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নিশ্চিত আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো। বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাব্য সময় ২২ মার্চ দিবাগত মধ্যরাত থেকে ২৩ মার্চ দুপুর পর্যন্ত।’মোস্তফা কামাল পলাশ আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ফলে ব্যাপক বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসেরও প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।’বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সিস্টেমটি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলতে আরও সময় লাগবে। এখনো অনেক দূরে।’ তবে এটি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রমের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।