gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ফকিরহাটে নোনা জলে ডুবছে কৃষকের স্বপ্ন
প্রকাশ : শনিবার, ২৩ এপ্রিল , ২০২২, ০৭:৫৭:৪২ পিএম
ফকিরহাট(বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
1650722295.jpg
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় তিন ইউনিয়নের ১০টি বিল পূর্ণিমার অতি জোয়ারে তলিয়ে গেছে। ফলে নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে এসব বিলের ধান খেত। উপজেলার খাজুরা বেড়িবাধের ৬ নম্বর ও খড়িবুনিয়ার ২ নম্বর স্লুইস গেট দির্ঘদিনেও সংস্কার না করায় কয়েকটি বিলে প্রায় একশ একর জমির ধান লবন পানিতে তলিয়ে গেছে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, রূপসা নদী হতে একটি খাল ফকিরহাটের বিভিন্ন স্থানের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। খালটি খাজুরা ৬ নম্বর গেট হয়ে মিনেদার বিল, খড়িবুনিয়া বিল, মাসকাটা বিল, চাকুলী বিল, শ্যামগঞ্জ বিল, ঝিনাইখালী বিল, কুমারখালী বিল ও বিঘা বিলের মধ্য দিয়ে শ্যামবাগাত পর্যন্ত বিস্তৃত।অন্য শাখাটি পার্শবর্তী রামপাল ইউনিয়নের বাইনতলা হয়ে গৌরম্বা এলাকায় গিয়ে মিশেছে। নদী থেকে খালের প্রবেশ মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) খাজুরায় ৬ নম্বর স্লুইস গেট নির্মাণ করেন। কিন্তু কয়েক বছর আগে প্রবল পানির চাপে গেটটি ভেঙ্গে যায়। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ভেঙে যাওয়া গেট পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েকবার দায়সারাভাবে মেরামত করলেও স্থায়ী সমাধান করেনি। ফলে ভাঙা গেট থেকে অতি জোয়ারের লবন পানি সরাসরি কৃষকের খেত ও মাছের ঘেরে চলে এসেছে। বিলের ডুবে যাওয়া আধা পাকা ধান বাঁচাতে কয়কজন কৃষক দিনরাত স্যালো মেশিন বসিয়ে সেচ দিচ্ছেন। কিন্তু পানির প্রবল চাপের কাছে সেচ অপ্রতুল হওয়ায় কোনো লাভ হচ্ছে না। পাশের বেতাগা ইউনিয়নের মাসকাটা বিলে একই চিত্র দেখা যায়। এভাবে আরও চার-পাঁচ দিন ধান ডুবে থাকলে ফসলসহ কৃষি জমির স্থায়ী ক্ষতি হবে বলে জানান।স্থানীয় কৃষকরা আরও জানান, বিরি আঠাশ ধান পেকে গেছে। তোহামনি, বিআর২, ও বিআর৩ ধান আধাপাকা অবস্থায় আছে। এ মুহুর্তে জোয়ারের লবন পানি প্রবল বেগে উপরের দিকে ধেয়ে আসছে। প্রবল পানির চাপে ভেড়ীবাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। জোয়ারের লবন পানি উঠা বন্ধ করতে হলে দুইটি গেটের পাট মজবুত করে নির্মাণ করতে হবে। তা করা না হলে জোয়ারের লবন পানি উঠা বন্ধ করা যাবে না।জেলার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বেশ কয়েকটি বিলের ধান লবন পানিতে নিমজ্জিত। এতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। লবন পানি উঠা বন্ধ করতে না পারলে কৃষকরা ব্যপক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষ্ণা সরকার বলেন, বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি। তারা চলমান পরিস্থিতিতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন।

আরও খবর

🔝