gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
খুলনায় ঈদ উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাচ্ছে ২৩৬ পরিবার
প্রকাশ : রবিবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২২, ০৭:৪৬:১৬ পিএম
খুলনা প্রতিনিধি: :
1650808002.jpg
আগামী ২৬ এপ্রিল ঈদ উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমি-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। এরই অংশ হিসেবে খুলনা জেলায় ১৪টি রূপসায়, ৬২টি তেরখাদায়, ৩৫টি দিঘলিয়ায়, চারটি ফুলতলায়, ৬৫টি ডুমুরিয়ায়, ৩৬টি পাইকগাছায় ও দাকোপে ২০টি পরিবারের কাছে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে।খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে তার সম্মেলনকক্ষে স্থানীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, তৃতীয় পর্যায়ে খুলনার জন্য পাঁচটি ধাপে সর্বমোট ৯০৬টি গৃহের বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং গৃহনির্মাণ কার্যক্রম চলমান আছে। গড় অগ্রগতি ৪৬ শতাংশ। তৃতীয় পর্যায়ে তেরখাদা উপজেলায় ১১৭টি, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২৩০টি, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৬৫টি, পাইকগাছা উপজেলায় ৯৭টি, দাকোপ উপজেলায় ৩০টি, দিঘলিয়া উপজেলায় ১০০টি, ফুলতলা উপজেলায় ৮১টি, রূপসা উপজেলায় ৭৬টি ও কয়রা উপজেলায় ১০টি গৃহের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে চারটি জানালার পরিবর্তে পাঁচটি জানালা সংযুক্ত করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ঘরের বারান্দায় আরসিসি পিলার, ঘরের বেজমেন্টে আরসিসি ঢালাই, গ্রেডবিম ও টানা লিন্টেল সংযুক্ত করা হয়েছে। খুলনায় উপযুক্ত খাস জমির সংস্থান না থাকায় কোনো কোনো উপজেলায় জমি ক্রয়পূর্বক গৃহনির্মাণ করা হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পাইকগাছায় ৪৭টি ঘরের জন্য ১.০৩ একর, দিঘলিয়ায় ৬৫টি ঘরের জন্য ১.৬৮৭১ একর, ফুলতলায় ৭৭টি ঘরের জন্য ১.৬০ একর, রূপসায় ১২টি ঘরের জন্য ০.২৪ একরসহ সর্বমোট ২০১টি ঘরের জন্য ৪.৫৫৭১ একর জমি ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে।প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, খুলনা জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি গৃহনির্মাণের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং শতভাগ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ের জমি ও গৃহ দেওয়া কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩৫১টি গৃহের বরাদ্দ পাওয়া যায়। গৃহনির্মাণের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং শতভাগ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের জমি ও গৃহ দেওয়া কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, খুলনা জেলায় ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ড্রইং, ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন শতভাগ মেনে চলা হচ্ছে।মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারের প্রত্যেককে দুই শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়াপূর্বক একক দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহনির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের সব জেলায় সর্বমোট ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ দেওয়া কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে দেশের সব জেলায় সর্বমোট ৬৫ হাজার ভূমি-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদিকুর রহমান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছা. শাহানাজ পারভীন, খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজাসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

🔝