প্রকাশ : শনিবার, ৮ অক্টোবর , ২০২২, ০৪:৩৪:৪৬ পিএম
তীব্র শরণার্থী সংকটে পরেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। এ অবস্থায় নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস শুক্রবার সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করার এ ঘোষণা দেন।শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, এপ্রিলে শুরু থেকে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সম্প্রতি ১৭ হাজার আশ্রয়প্রার্থী নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রবেশ করেছেন।তিনি বলেন, যে শহরটি এই অর্থবছরের শেষ নাগাদ অভিবাসীদের জন্য আবাসন, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সহায়তার জন্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় হবে বলে আশা করছে। এতে শহরটির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।এসব শরণার্থীদের বেশিরভাগ ভেনিজুয়েলা, কিউবা, নিকারাগুয়া এবং অন্যান্য লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে সহিংসতার জেরে পালিয়ে এসেছে।অ্যাডামস এটিকে সংকটময় পরিস্থিতি বলছেন। ১৯৮০ সালের আইনের অধীনে নিউইয়র্কে যার প্রয়োজন তার আবাসনের ব্যবস্থা করা বাধ্যতামূলক। নিউইয়র্কে এখন ৫ জনে একজন আশ্রয়প্রার্থী বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিনই বাড়ছে এই সংখ্যা। প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে অ্যাডাম বলেন, শহরের কর্মকর্তাদের দ্রুত গতিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের অনুমতি দেবে।তিনি বলেন, অভিবাসীদের জন্য জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ৪২টি হোটেল স্থাপন করা হয়েছে এবং ৫হাজার শিশুকে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের ওয়ার্ক পারমিট নেই, তাই তাদের দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্রয়োজন।এদিকে, নিউইয়র্ক ছাড়াও অন্যান্য শহর সীমান্ত সংলগ্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের চপে রয়েছে। টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট, মেক্সিকোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে ক্রমবর্ধমান অভিবাসীদের আগমনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।অন্যদিকে গত মাসে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান গভর্নর রন ডিস্যান্টিস ৪৮ জন অভিবাসীকে দুটি ব্যক্তিগত বিমানে করে ম্যাসাচুসেটসের একটি ধনী অবকাশ দ্বীপ মার্থাস ভিনইয়ার্ডে নিয়ে যান।