gramerkagoj
বুধবার ● ৮ মে ২০২৪ ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ

নড়াইলে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
প্রকাশ : শনিবার, ২ মার্চ , ২০২৪, ১১:১৭:০০ এ এম , আপডেট : বুধবার, ৮ মে , ২০২৪, ০২:৫৯:৫৪ পিএম
নড়াইল অফিস:
GK_2024-03-02_65e2b691779b4.jpg

নড়াইলের কালিয়ায় নিলয় মোল্লা (১৪) নামে এক মাদসারা ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তাকে এ পরিণতি বরণ করতে হয়েছে। এসময় নিলয়ের সঙ্গে থাকা তামিম নামে অপর এক কিশোর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে এ হত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত নিলয় মোল্লা উপজেলার টোনা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য সুলতান আহমেদ মোল্লার ছেলে এবং স্থানীয় টোনা দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিলয়ের সঙ্গে থাকা আহত বন্ধু তামিম বলেন, কিছুদিন ধরে তাদের গ্রামের একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত শাকিল খান নামে ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের এক তরুণ। নিলয় এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাকিলকে চড় দেন নিলয়। পরে স্থানীয় বড় ভাইয়েরা ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন। ওই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাতে মাহফিল থেকে নিলয়কে একজন ধূমপান করার কথা বলে ডেকে নিয়ে দুইটা চড় মারে। পরে ওখানে কি হয়েছে তা দেখতে যায় তার বন্ধু তামিম। এসময় শাকিলসহ ২০/৩০ জন দা ও লাঠি দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। আমরা বাঁচার জন্য চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করে।
খাশিয়াল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজ্জাক খন্দকার বলেন, মাহফিলের পাশে চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি নিলয় নামের ছেলেটা মাটিতে পড়ে আছে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ঝরছে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বড়দিয়া বাজারে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাই। সেখান থেকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নিলয়ের বাবা সুলতান আহমেদ মোল্লা বলেন, ছেলে বাড়ি থেকে কয়েকজনের সঙ্গে মাহফিল শুনতে গিয়েছিল। এরপর ফোনে জানতে পারি নিলয়কে মারধর করেছে। হাসপাতালে এসে দেখি নিলয় আর নেই।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই নিলয়ের মৃত্যু হয়েছিল। তামিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাকিল খান বা তার পরিবারের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নড়াগাতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মরদেহ কালিয়া হাসপাতালে রয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর

🔝