gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে প্রতারণা করে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ , ২০২৪, ০৯:৪৯:০০ পিএম
বিশেষ প্রতিনিধি:
GK_2024-03-14_65f31c9e125ba.png

জমি ও বাড়ি বিক্রির নামে যশোরের ঝুমঝুমপুর বালিয়াডাঙ্গার এক বাড়ির মালিক তার নারী ভাড়াটিয়ার (প্রবাসীর স্ত্রী) কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রবাসীর স্ত্রী ভাড়াটিয়া হিরা খাতুনের দেওয়া ওই অভিযোগ তদন্ত করছে থানা পুলিশ। এ নিয়ে থানায় প্রাথমিকভাবে বসাবসিও হয়েছে। থানায় অভিযোগ করায় স্থানীয় একটি মহলকে ম্যানেজ করে ওই নারীর চুলের মুঠি ধরে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগটি মনগড়া বলে দাবি করেছেন বাড়ির মালিক মিরাজুল ইসলাম।
থানায় দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রবাসী আজিজুল ইসলামের স্ত্রী হিরা খাতুন বালিয়াডাঙ্গা আদর্শপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মিরাজুল ইসলামের ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন। বসবাসের একপর্যায়ে মিরাজুল ইসলাম ভাড়াটিয়া হিরা খাতুনকে জানান তার নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় বসতবাড়িসহ জমি বিক্রি করবেন। এরজন্য মিরাজকে মোট ৩৮ লাখ টাকা দিতে হবে। এরপর হিরা খতুন তার প্রবাসী স্বামীর সাথে কথা বলে বাড়িসহ জমি কিনতে রাজি হন। মিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাকে টাকা জোগাড় করে রাখতে বলেন।
স্বামীর সাথে কথা বলে ৩০ লাখ টাকা জোগাড় করে মিরাজুলকে জানান হিরা খাতুন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টায় মিরাজুল হিরার ঘরে গিয়ে জানান ৩ মার্চ সকালে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবেন, বাড়িতে অতগুলো টাকা রাখা ঠিক হবে না। টাকাগুলো মিরাজের কাছে আগেই দিয়ে দিতে বলেন। মিরাজের কথায় বিশ্বাস করে হিরা খাতুন তার ছেলে তানভীর মাহমুদের সামনে মিরাজকে ৩০ লাখ টাকা প্রদান করেন। এরপর ৩ মার্চ সকালে মিরাজ ও তার স্ত্রীকে রেজিস্ট্রি অফিসে যাওয়ার কথা বললে তারা বিভিন্ন তালবাহানা কথা বলতে শুরু করেন। জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় টাকা ফেরত চাওয়ায় নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি টাকা ফেরত না দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। গত ৭ মার্চ সকাল ৯ টায় হয় জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে হব নইলে টাকা ফেরত চাহিলে তারা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে এবং বাড়ি থেকে নেমে যওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এসব ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করার পর তদন্তে নেমেছেন এসআই ইবনে খালিদ। ৮ মার্চ তিনি অভিযুক্ত মিরাজুল ইসলাম ও ভুক্তভোগী নারীকে থানায় ডাকেন এবং উভয়পক্ষের বক্তব্য গ্রহণ করেন।
এসআই ইবনে খালিদ জানিয়েছেন, নিজের ছোট সন্তানসহ ভুক্তভোগী অভিযোগকারী থানায় এসেছিলেন। টাকা দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে,লিখিত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এরপর তিনি নানাভাবে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে হিরা খাতুন জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগ করে তিনি বিপাকে পড়েছেন। অভিযোগের তদন্ত চলছে। এরমধ্যে বাড়ির মালিক মিরাজ স্থানীয় মেম্বারকে ম্যানেজ করে ১১ মার্চ হুমকি দিয়েছে। তাকে চুলের মুঠি ধরে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গেছেন ওই মেম্বার।
অভিযুক্ত মিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ওই নারী তার ভাড়াটিয়া মাত্র। তার সাথে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি। জমি বাড়ি বিক্রির কোনো কথাও হয়নি তার সাথে। অকারণে অসৎ উদ্দেশ্যে তাকে নিয়ে মনগড়া অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে মিডিয়া ও পুলিশের কাছে। এ কারণে তিনি নিজেও থানায় একটি অভিযোগ করেছেন হিরা খাতুনের নামে ।

আরও খবর

🔝