আগে রাজনীতিবীরগের মুকি শুনতাম রাজনীতিতি শেষ কতা বিলে কিচু নেই। আর একন গরমে দেকতেচি আবহাওয়াবীরগের সব্বোচ্চ বিলে কিচু নেই। পেত্তেক দিন শুনি সব্বোচ্চ তাপের মাত্তার কতা। কিন্তুক তাপ হইয়ে যাচ্চে কবির লিকা কবিতার মতো। ‘দিন যত যায় দূর্ভোগ তার ততো বাইড়ে যায়’। যিরাম বাইড়েচে তাপ, সিরাম কুককুড়ি খেলে কারেনে তার সাতে বিষফুড়া হইয়েচে টিউকলেও পানি উইটতেচে না। ড্যাঙ্গায় বাঘ পানিতি কুমির সিরাম দশা আমাগের। শুইয়ে বইসে খাইয়ে কিচ্চুতি উহোস নিহেশ পাচ্চি নে। ঠিক মতো না হচ্চে চ্যান ধ্যান না হচ্চে ঘোম। বাড়ির বিটিরে আশপাশতে যাইগের পাওয়োরয়ালা পাম আচে স্যানতে পানি টুকায় আইনতেচে তাই দিয়ে কোন রকম কুলি কুচি করার মতোন দশা।
গরমের মদ্দি এট্টু ঠান্ডা পানি খাবো সিডারও জো নেই। ঘড়া জগে আগেত্তে আইনে থোচ্চে সিডা গরমে আঙরায় যাচ্চে সিডায় খাতি হচ্চে। কি করবো কওদিনি বাপু। আর রাত্তিরি যদি এট্টু শুতি যাব চুড়ত কইরে যদি কারেন পাইজে যায় তালি ঘাইমে গা সুতায় যাচ্চে তাও জানের বুজ দিতি পাত্তাম যদি মশায় না কইশতো। শুনতি পালাম টিউকলের পানির লিয়ার হ্যাতো তলায় উইলে গেচে যে ভারী বিস্টি না হলি সে লিয়ার আর কলের পাইপি ঠেয় পাবে না। এরই মদ্দি আমাগের যশোরে ৪০ ডিগ্রিতি তাপ উইটেচে। শুনতিচি সিডা নায় আরো দুই চার ডিগ্রি বাড়বে সুমকি। গরমে এমনি চোকি ঝাপসা দেকচি আরও যদি তাপ বাড়ে তালিতো এ্যবার পাটায় ফেলায় দেবেনে। এই খরার মদ্দিও যাইগের এসি মেচি আচে তারা তো এক কাযদায় দিন পার কচ্চে। আমাগের মতো যারা খেড়ি খুদাবক্স মত্তি মরণ তাইগের। খরা যকন মাতা চাড়া দেচ্চে তকন কোনটোয় বাও বাতাসের কোন আলামত পাওয়া যাচ্চে না। পিচির রাস্তায় ঐ সুমায় গেলি মনে হচ্চে তাপে মুক পুড়ায় দেলে। অনেক জাগায় কালবোশেকের খবর পাচ্চি। তাতে লোক মরারও খবর চাউর হইয়েচে। য্যানে হচ্চে স্যানে বিস্টির চাইতে ঝড়ই বলবত। কোনটোয়তো শিল পন্তিক পইড়েচে। গরমের কচনে খালি মনে হচ্চে এই চালান আর টেকসই হবান্না। ককন যে আইগোয় যাতি হয় কতি পাত্তিচিনে।
তাপের কারনে মানসির মিজাজও যাচ্চে খাররা হইয়ে। পতে বাইরোলিও দেকতিচি ধুইতুলি মুইতুলিত্তে ঠুসোঠুসি। ওপরয়ালায় জানে এর শেষ কনে। আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা