সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরের নোঙর করেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় জাহাজটি বন্দরের জেটিতে নোঙর করেছে বলে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের প্রথম সচিব (প্রেস) আরিফুর রহমান। তিনি জানান, নাবিকদের সাথে বন্দর সাক্ষাৎ হয় এবং নাবিকদের সবাই সুস্থ আছেন। জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার ৯ দিনের মাথায় তীরের দেখা পেলেন জাহাজটির ২৩ নাবিক। জাহাজের ২৩ জন নাবিকের মধ্যে দুই জন বিমানে দেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন জাহাজে করেই চট্টগ্রাম আসবেন।
এসময় জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত ও কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম নাবিকদের সাথে আলিঙ্গন করেন। নাবিকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেও অনেকেই আনন্দে চোখের পানি ছেড়ে দেন।
জাহাজ থেকে পাঠানো এক ভিডিওতে দেখা যায়, সকল নাবিকরা জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির সাথে গ্রুপ ছবি তুলছেন। একে অপরের সাথে আলিঙ্গন করছেন। এর আগে জাহাজটি সোমবার বিকেলে বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছিল। এখন জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে।
জানা যায়, আগামী ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে পারে।
গত ১৩ এপ্রিল ভোর ৩টায় সোমালিয়ান দস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক। দস্যুদের ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুক্তিপণ হিসেবে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়েছিল।