gramerkagoj
রবিবার ● ১৯ মে ২০২৪ ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
প্রসঙ্গ: সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদ
প্রকাশ : রবিবার, ৫ মে , ২০২৪, ০৯:৩৫:০০ এ এম
:
GK_2024-05-04_66360f66ef3aa.jpg

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজের গ্রামে সমবায় পদ্ধতিতে যে চাষাবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করছেন, তা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছার কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, আস্থা হারানোর কিছু নেই। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় তিনি একটি সমিতি করেছেন। তিনি ওই সমিতির উপদেষ্টা। নিজেদের ৯ বিঘা জমিও দিয়েছেন সমবায়ের আওতায় চাষাবাদের জন্য। সমিতির আওতায় যুক্ত হয়েছে মাছ চাষ। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সমবায় পদ্ধতিতে চাষ করলে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে, কমবে খরচ। অনাবাদি জমির পরিমাণও কমে আসবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারপ্রধান বলেন, ‘অনেক অনাবাদি যদি চাষাবাদের আওতায় চলে আসছে। আমি যখন করলাম, আশেপাশের কৃষকরাও উৎসাহিত হল। তারাও কিন্তু নিজেরা চাষ শুরু করে দিয়েছে। নিজেরাই আবার নিজেদের জমি পরিষ্কার করেছে। আমাদের ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দুটি মেশিন আমি কিনে দিয়েছি সেখানে। কার জমি কতটুকু, ফসল বিক্রি করে সে অনুযায়ী টাকাটা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।’ নিচু জমিতে চাষের মাছ বিক্রি করে পাওয়া আট লাখ টাকা মালিকদের মধ্যে বণ্টন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাছ বিক্রি করে ৮ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। কৃষাণ-কৃষাণি যারা শ্রম দিয়েছে, তা ভাগ পেয়েছে। আমি আমার ভাগে এক লাখ টাকা পেয়েছি। আমি নিজের এলাকায় করেছি। এটা করে আমি মডেল হিসাবে দাঁড় করাব।’
বঙ্গবন্ধুর সমবায় কৃষি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে করা এক প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যদি যান্ত্রিকীকরণ করতে চাই, তাহলে একটানা বড় জমি লাগবে। ছোট খণ্ড খণ্ড জমিতে করতে পারব না। সে কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলতেন, আমাদের যে আইল আছে, সেই আইলগুলিকে যদি জোড়া দেওয়া হয়, তাহলে ফরিদপুর জেলার সমান একটা চাষ উপযোগী জমি বের হয়ে আসবে। সেজন্য তিনি এই ব্যবস্থাটা নিয়েছিলেন। আপনারা যদি স্মরণ করতে পারেন, তিনি কিন্তু কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কথা বলতেন।’
আমরা মনে করি, ক্রমাগত আবাসন সমস্যার কারণে চাষের জমি হারিয়ে যাচ্ছে। তারপরও প্রতিবছর শরিকদের মধ্যে জমি বন্টনের কারণে আবাদী জমিতে তৈরি হচ্ছে আইল। ছোট ছোট হয়ে যাচ্ছে আবাদী জমি। এ অবস্থায় বৃহৎ কোনো চাষের পরিকল্পনা যেমন ব্যহত হচ্ছে, তেমনি কমে যাচ্ছে চাষযোগ্য কৃষি জমি। এ অবস্থায় সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদের পরিকল্পনা দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা গেলে ফলন অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

আরও খবর

🔝