শিরোনাম |
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাশকতার হুমকির বার্তা ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিয়েছে আইসিসি এবং ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ বিষয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইসিসি এবং ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা জানিয়েছে, বিশ্বকাপকে ঘিরে ব্যাপক এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো প্রধানমন্ত্রী ড. কেইথ রাউলি নিশ্চিত করেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো সম্ভাব্য হুমকির বিষয়টা মনিটরিং করতে শুরু করেছেন। কারা, কেন হুমকি দিচ্ছে সে বিষয়টাও খতিয়ে দেখবে তারা।
ড. রাউলি কথা বলেন সানডে এক্সপ্রেসের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সন্ত্রাসবাদের হুমকি এবং তার বহু ও বৈচিত্রময় অভিভ্যাক্তি একবিংশ শতাব্দীতে একটা স্থায়ী বিপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এই পটভূমিতে বিশ্বের সব জাতি, বিশেষ করে আমরা যখন একটি বড় এবং অস্থায়ী জনসমাগমের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছি। যে কারণে নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা আলাদাভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সে সঙ্গে যে কোনো ধরনের হুমকি, সেটা প্রকাশ্যে হোক বা গোপনে হোক আমরা সিরিয়াসলি গ্রহণ করছি।
সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইও। ক্রিকেটারদের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছে তারা। এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে বোর্ডের সহসভাপতি রাজীব শুক্লা বলেন, হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে এটুকু বলতে পারি, যে দেশ প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে তাদের উপরেই সব রকম নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করা হবে। ক্রিকেটার এবং দর্শকদের সুরক্ষার জন্য আমরাও সাহায্য করতে রাজি।
টি-২০ বিশ্বকাপের খেলা হবে নয়টি ভেন্যুতে। যার ছয়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবং তিনটি যুক্তরাষ্ট্রে। ১ জুন শুরু হয়ে টুর্নামেন্টটি শেষ হবে ২৯ জুন। বার্বাডোজে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল খেলা।
হুমকি সম্পর্কে আইসিসি এবং ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজও একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। তারা লিখেছে, আমরা স্বাগতিক দেশ এবং শহরগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সব সময় আমরা বিষয়টা মনিটর করছি এবং বৈশ্বিক নানা উপায়ে আমরা নিশ্চিতভাবে নিখুঁত পরিকল্পনা করে কাজ করছি। সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেখানে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের চেষ্টা করছি।