gramerkagoj
রবিবার ● ১৯ মে ২০২৪ ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
আদা মিশ্রিত পানীয়র উপকারিতা অনেক
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৭ মে , ২০২৪, ১০:০৩:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ১৭ মে , ২০২৪, ১১:৫৬:৩৩ এ এম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-05-07_663a513800b7e.jpg

আদা চা কিংবা পানি ওজন কমাতে সহায়তা করার পাশাপাশি নানানভাবে উপকার করতে পারে। দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতেই হয়। চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও প্রয়োজন পড়ে। আর এই ওজন কমানোর রুটিনে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে আদা মিশ্রিত পানি বা চা।
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই বিষয়ে জানানো হল বিস্তারিত। ঝাঁঝাঁলো স্বাদের কারণে ঠাণ্ডার সমস্যায় আদা-পানি বা চা পান করলে বেশ আরাম লাগে। আদায় রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। আরও আছে ‘শোগাওলস’ এবং ‘জিঞ্জারলস’ নামক যৌগ। এই দুই উপাদান শারীরিক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ‘ফ্রি রেডিকল’য়ের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং প্রদাহ দূর করে।
হজমে উপকারিতা
স্বাস্থ্যকর হজম ক্রিয়া শরীরকে সার্বিকভাবে সুস্থ রাখে। সকালে উঠে খালি পেটে আদার জল খাওয়া হলে তা শরীরের বিপাক এবং হজম ক্রিয়া সক্রিয় রাখে।
ওজন কমাতে আদার জল
এক গ্লাস পানি গরম করে তাতে আধা চা-চামচ আদার কুচি মেশান। ১০ মিনিট পর ছেঁকে পান করুন। শুধু আদার পানি খেতে ভালো না লাগলে এতে লেবুর রস মেশানো যেতে পারে। স্বাদ বৃদ্ধির সঙ্গে পুষ্টিগুণও বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ ম্যারিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার’য়ের তথ্যানুসারে, প্রাপ্ত বয়স্কদের আদা খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। দৈনিক চার গ্রামের বেশি আদা খাওয়া যাবে না। এছাড়াও দুই বছর বয়সের নিচের শিশুদের আদা খাওয়া ঠিক নয়। আর গর্ভবতী নারীরা দৈনিক এক গ্রামের বেশি আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
এদিকে, অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে অস্বস্তি। আদা কেবল খাবারের স্বাদ বাড়ায় না এর রয়েছে নানান ভেষজ গুণ। যা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে এবং শরীর সার্বিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
তবে সব কিছুর মতো অতিরিক্ত আদা গ্রহণ করাও ঠিক নয়।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে অরিতিক্ত আদা খাওয়ার নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানানো হল।
ডায়রিয়া
বেশি পরিমাণে আদা খাওয়া হলে ডায়রিয়া হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা খাবারকে দ্রুত বর্জ্যে পরিণত করে এবং তা এক পর্যায়ে ডায়রিয়ায় রূপ ধারণ করে দুর্বলতার সৃষ্টি করে।
গর্ভাবস্থায় অনিরাপদ
ধাত্রীবিদ্যার সূত্রানুসারে, দৈনিক ১,৫০০ মি. গ্রামের বেশি আদা খাওয়া গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এই সমস্যা এড়াতে গর্ভাবস্থায় আদা না খাওয়াই ভালো।
রক্তপাত ঘটাতে পারে
আদাতে আছে ‘অ্যান্টি প্লাটিলেট’ উপাদান। অতিরিক্ত আদা খাওয়া রক্তপাত ঘটায়। এটাও জানা যায় যে, লবঙ্গ বা রসুনের সঙ্গে গ্রহণ করলে অতিরিক্ত রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
হৃদযন্ত্রের ঝুঁকি
হৃদয় বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা রক্তচাপের জন্য ওষুধ খান তাদের আদা খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত। ধারণা করা হয়, অতিরিক্ত আদা খাওয়া অনিয়ন্ত্রিত হৃদগতির সৃষ্টি করে।
গ্যাস ও ফোলাভাব
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড ইন্টিগ্রেইটিভ হেলথ’য়ের তথ্য অনুযায়ী আদার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হজমে প্রভাব রেখে গ্যাস ও ফোলাভাবের সৃষ্টি করে।
পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকারক
আদাতে আছে শক্তিশালী উপাদান। যা খালি পেটে খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে হজমে সমস্যা তৈরির পাশাপাশি পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
মুখে অস্বস্তি
অনেক খাবার অ্যালার্জির সৃষ্টি করে, একে বলা হয় ‘ওরাল এলার্জি সিন্ড্রোম’। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আদার খাওয়ার পরে মুখে জ্বলুনির সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে অনেকেরই জিহ্বা ও মুখ ফোলার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও খবর

🔝