শিরোনাম |
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাবনার তিন উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলছে। আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময় ভোটকেন্দ্রে ভোটারের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
সকাল থেকে মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চরভবানীপুর, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নীউগীর বনগ্রাম, সাতবাড়িয়া, ভায়নার চলনা, সাতবাড়িয়া, কাদোয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রগুলোর সামনে ভোটারের দীর্ঘ সারি। তবে ইভিএম মেশিন বারবার নষ্ট হয়ে যাওয়াতে ভোট গ্রহণে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
সুজানগরের চরভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন বাবু প্রামানিক। তিনি বলেন, এই প্রথম ইভিএমে ভোট দিলাম। খুব আগ্রহ ছিল ইভিএমে ভোট দেওয়ার। কোনো সমস্যা হয়নি। তবে ভোট দিতে বিলম্ব হচ্ছে।
চরভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আবু সাঈদ বলেন, এই কেন্দ্রে নারী পুরুষ মিলে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০ জন। কেন্দ্রে ১৬টি বুথ বসানো হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ ভোট পড়েছে। এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে।
ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মো. তায়েব আলী। তিনি বলেন, কোনো ঝামেলা ছাড়া ভোট দিতে পেরেছি। আমাদের অনেক শঙ্কা ছিল ভোটকেন্দ্র যেতে পারব কি না। তবে কোনো সমস্যা ছাড়াই ভোটকেন্দ্র আসছি। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছি।
মো. সেলিম রেজা বলেন, দোকান বন্ধ করে সকাল আটটায় ভোট দিতে এসেছি। সকাল দশটা বেজে গেলেও ইভিএম জটিলতায় ভোট দিতে পারিনি।
সুজানগর পাইলট মডেল স্কুলের সহকারী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফ আলী বলেন, এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৫৯৪। সকাল দশটা নাগাদ ২৭টি ভোট কাস্ট হয়েছে। মাঝেমধ্যে মেশিন সমস্যা দেখা দেওয়াতে অন্য বুথে পাঠানো হচ্ছে। এজন্য কেন্দ্রে অনেক ভোটার দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, পাবনার তিন উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্নের লক্ষ্যে বিজিবি, পুলিশ ফোর্স মাঠে রয়েছে। এ ছাড়া র্যাব, আনসার সদস্য ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।