gramerkagoj
সোমবার ● ২০ মে ২০২৪ ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ একবছর ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মামলার নথি

যশোরে পেশকার ও পিয়নের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ
প্রকাশ : বুধবার, ৮ মে , ২০২৪, ১০:৩৭:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ১৭ মে , ২০২৪, ১১:৫৬:৩৩ এ এম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-05-08_663baaca7ef44.jpg

যশোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি নথির হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা। এক বছর দু’মাস আগে বিচারক মামলাটি জেলা জজ আদালতে বদলি করা হলেও কোনো কাগজপত্র যায়নি। অভিযোগ করা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার ও পিয়ন আসামিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে নথিটি নষ্ট করে ফেলেছেন। এসব অভিযোগ এনে বাদীপক্ষ গত ২৪ এপ্রিল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, আদালত কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী স্বপন ভদ্র।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর মণিরামপুর উপজেলার কাজিয়াড়া গ্রামের শাহাজউদ্দীন সরদার বালিধা গ্রামের গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের অভিযোগ এনে ২১ লাখ টাকার একটি মামলা করেন মণিরামপুরের আমলী আদালতে। যার নম্বর সিআর-১০৫৫/২২। অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। পরবর্তীতে গত বছরের পহেলা মার্চ মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিচারক। কিন্তু মামলার নথি আজও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়নি। ওইসময় মণিরামপুর আমলি আদালতের পেশকারের দায়িত্বে ছিলেন মোজাফ্ফর হোসেন। আর পিয়ন ছিলেন জাকির হোসেন। আদালতে মামলাটির নথি খুঁজে না পেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে তাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে তারা আশঙ্কা করেন ওই পেশকার এবং পিয়ন সুবিধা নিয়ে প্রভাবিত হয়ে মামলার নথিটি নষ্ট করে ফেলেছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় আসামি গোলাম রসুল এলাকায় প্রচার করে বেড়াচ্ছেন তিনি মামলা থেকে খালাস পেয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী স্বপন ভদ্র বলেন, সাধারণত মামলা বদলি হলে এক আদালত থেকে আরেক আদালতে যেতে সময় লাগে সাতদিন। সেখানে এক বছর দু’মাস হয়ে গেছে। কিন্তু নথি যায়নি। এমনকি নথিটির কোনো হদিসই নেই। যা মোটেও কাম্য না। এতে করে বাদীপক্ষ তার প্রতি অনীহা দেখাচ্ছে। তারা আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এ বিষয়ে আদালতের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
পেশকার মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আদেশের পর নথি প্রথমে তার কাছেই আসে। পরবর্তীতে তিনি লেখালেখির কাজ শেষ করে কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেন। এরপর সেই নথি আর তার কাছে ফেরত আসেনি। ফলে, তিনি নথিটি কোথায় আছে তা বলতে পারেন না। তবে, তিনিও নথিটি খুঁজে পেতে চেষ্টা করছেন। তিনি অবৈধভাবে প্রভাবিত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

 

আরও খবর

🔝