শিরোনাম |
অবশেষে বনবিভাগের বোধোদয় হলো। গণমানুষের দাবি ও দৈনিক গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর দুই হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে যশোর বনবিভাগ। যশোরাঞ্চলের উপর দিয়ে যাওয়া টানা তাপদাহের মধ্যে উল্টোপথে অবস্থান নিয়ে যশোরের চারটি সড়কের দুই হাজার ৪৪টি বড় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে টেন্ডার আহবান করেছিল, ৬ মে তা বাতিল করা হয়েছে। বনবিভাগের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।
গত ১৭ এপ্রিল থেকে সারা দেশেই তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়। গত তিন সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে যশোরে ৩৮ থেকে শুরু করে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলমান এই তাপপ্রবাহে যখন গাছ লাগানোর দাবি জোরালো হচ্চিলো ঠিক তখন উল্টোপথে হাঁটা শুরু করে যশোর বনবিভাগ। জেলার ৪ সড়কের দুই হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয় বনবিভাগ। সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধির পরিবর্তে গাছ কাটার জন্য আহবান করা টেন্ডার নিয়ে তুমুল হৈচৈ শুরু হয়। এ নিয়ে দৈনিক গ্রামের কাগজসহ কয়েকটি মিডিয়ায় সংবাদও প্রকাশিত হয়। তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত যশোরের জনজীবন। এরমধ্যে বৃষ্টিহীন খরতাপে পুড়ছিল এ অঞ্চল। প্রকৃতির এ বৈরি আচরণের জন্য অনেকগুলো কারণের মধ্যে গাছ কেটে ফেলাও একটি বড় কারণ বলে চিহ্নিত করেন পরিবেশবাদীরা। এ জন্য বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্ব দেন তারা। তারা সবাই তখন গাছ লাগানোর দাবি জানান। বেশিবেশি গাছ লাগানোর ব্যাপারে লেখালেখিও শুরু হয় বিভিন্ন প্লাটফরমে।
পরিবেশ ও আবহাওয়াবিদরাও নানা মন্তব্য করেন বন বিভাগের এই দুই হাজার গাছ কাটার টেন্ডার আহবান করা নিয়ে। এ নিয়ে গত ৫ মে দৈনিক গ্রামেরকাগজসহ কয়েকটি দায়িত্বশীল মিডিয়ায় ফলাও করে খবর প্রকাশিত হয়। সংবাদটি সরকারের উপর মহল ও বন বিভাগের উপর মহলে পৌঁছালে সোমবার ওই টেন্ডার বাতিল করা হয়। বনবিভাগের এমন তরিৎ সিদ্ধান্তে গাছগুলো আপাতত রক্ষা পেলো।