
যশোরের সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের দু’টি রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বললেও কোনো সুরাহা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের হাউজিং এলাকার বিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে সারথী মোড় পর্যন্ত রাস্তার খুবই নাজেহাল অবস্থা। এ রাস্তার মোড়ে মোড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজ না হওয়ায় বৃষ্টিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
একই অবস্থা মফিজের দোকান থেকে বিমল রায় চৌধুরীর গোল কোর্ট চত্বর পর্যন্ত রাস্তার। দীর্ঘ ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে তেমন কোনো কাজ হয়নি এ রাস্তার। তবে, সাবেক সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটোর আমলে এক হাজার ৫০ ফুট রাস্তার ৪শ’ ৫০ ফুট রাস্তার সংস্কার কাজ হয়। তবে, আজ পর্যন্ত বাড়ি ছয়শ’ ফুট রাস্তার যেন কোনো অভিভাবক নেই। বিনা সংস্কারেই পড়ে আছে। এ রাস্তা দিয়ে শিলা রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাইমারি স্কুল, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক ও একটি সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে যেতে হয়। এ ছাড়া, প্রতিদিন শ’ শ’ মানুষ চলাচল করেন। অথচ এ রাস্তায় আসলেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর।
এলাকার রতন কুমার সরকার, ইজাহার আলী, রনি শেখ, মফিজুর রহমান ও গোপাল বিশ্বাস বলেন, দেশ স্বাধীনের পর একবার সামান্য কাজ হয়েছিল। তারপর আর তেমন কোনো উন্নয়ন কাজ এ রাস্তায় হয়নি।
তারেক হাসান, খোকন বিশ্বাস, ইব্রাহিম বিশ্বাস, মুনছুর শেখ, ইউপি সদস্য মুক্তা বেগম, বিকাশ রায় চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবু সাইদ, মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন, মিলন হোসেন, আলম হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, দুঃখী রাম বিশ্বাস, ডাক্তার আশিষ কুমার বিশ্বাস, শাহজাহান আলী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম জানান, তাদের প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু রাস্তার অচলাবস্থার কারণে যাতায়াত করা যায় না। তারা দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার দাবি করেছেন।