
মণিরামপুরে আকস্মিক ঝড়ে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘরের চালের টিন উড়ে যায়। এসময় গাছ চাপায় ১জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একই সাথে বৈদ্যুতিক পিলার ভেঙ্গে যাওয়াসহ গাছ পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে উপজেলায় প্রায় ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রোববার বিকেলে পৌর শহরে থেমে থেমে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হলেও এখনো অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়নি।
বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল সংযোগ বিঘœ ঘটায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যোগাযোগ করতে না পারায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করতে পারেনি। ঝড়ে গোবিন্দপুর, ধলিয়াগাতি ও টুনিয়াঘরা আলিম মান্দ্রাসার টিনের চাল উল্টে গেছে। নাগোরঘোপ স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল উড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ধানসহ গাছ গাছালী ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কাশিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলী জানান, ঝড়ে ইত্যা দাসপাড়াসহ গাছ চাপায় ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ শত কাচা-অর্ধপাকা ঘর ভেঙ্গে যায় ও চালের টিন উড়ে গেছে। গাছ চাপায় কাশিমনগর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে কামরুল ইসলাম গুরুত্বর আহত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
উপজেলা দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন জানান, ধানের থোড় আসায় ঝড়ো বাতাসের কারনে কিছুটা চিটা পড়ার আশংকা রয়েছে।
যশোর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর ব্যবস্থাপক আব্দুর রশিদ মৃধা জানান, ঝড়ে ১৮টি বৈদ্যুতিক পিলার ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া তার ছিড়ে যাওয়ায় সমিতির ৬ টি ফিডারের মধ্যে ৪টি ফিডার চালু করা গেছে।