
সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন। বিধবস্ত রাস্তা রামনাবাধ নদী পানিতে তলীয়ে থাকায় এক গ্রামের সঙ্গে অন্য গ্রাম ও উপজেলা সদরে আসতে নৌকায়ই এখন একমাত্র ভরসা। পুকুরে তলিয়ে থাকায় দেকা দিয়েছে তীব্র বিশুদ্ধ পানি সংকট। ফলে নদীর লবন পানিতে দৈনন্দিন কাজ করতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় দেখা দিয়েছে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ। ফনীর তান্ডবে বিধবস্ত পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া ভাঙা বেরিবাধ সংলগ্ন মানুষের এ দুংখ কষ্ট এখন নিত্য দিনের । সরকারের পক্ষ থেকে দুর্গত মানুসকে রক্ষায় জরুরী সহায়তা ও ভাঙ্গা বেরিবাধ রক্ষায়র আশ্বাস দেয়া হলো ও গ্রামবাসীদের বক্তব্য সেই সিডরের পর থেকে ঝড় জলোচ্ছ্বস হলোই আমরা ভাসছি। কিন্তু টেকসই বেরিবাধ আর নির্মান হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফনীর প্রভাব কেটে গেলেও এখন স্বভাবিক হয়নি চারিপাড়া গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রা। ফনীর তান্ডবে কলাপাড়ায় তেমন ক্ষতি না হলেও চারিপাড়াসহ সাতটি গ্রামের অর্ধশতাধিক বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পায়রাবন্দরের জন্য এ ফনীর তান্ডবে কলাপাড়া তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও চারিপাড়াসহ সাতটি গ্রামের অর্ধশতাধিক বশত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামটি সরকার অধিগ্রহন করায় বন্দর এর নির্মান কাজ শুরু না হওয়ায় থমকে আছে সব উন্নয়ন কর্মকান্ড । তাই ঝড় জলোচ্চ¦াস হলেও চাড়িপাড়া বিধস্ত বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যায় লালুয়া ইউনিয়েনের ১৬টিগ্রাম। ।
১১নং হাওলা গ্রামের গ্রহবধু জেসমিন বেগম জানান, রাবনাবাঁধ নদীর পানিতে গত ছয় দিন ধরে তলিয়ে আছে। চাড়িপাড়া ,নাওয়াপাড়া, ১১নং হাওয়া, চৌধুরিপাড়া, নয়াকাটা, মুন্সীপাড়া, ,চান্দুপাড়া, হাসনাপাড়া,.চরচান্দুপাড়া ও পশরবুনিয়া গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। কোমর সমান পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় এবং কাঠের সেতু,বাঁশের সাকো ভেঙ্গে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগা । এ কারনে প্রয়োজন গ্রামবাসীদের নৌকা ট্রলারে করে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যেতে হচ্ছে। এতে সরকারের ত্রান বিতরনের সীমাহীন কষ্টসহ স্কুল -কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পড়ছে চরম দুর্ভো।
একই গ্রামের শানু হাওলাদার জানান, পানি বন্দী হয়ে থাকায় গ্রামবাসীরা বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ডায়রিয়াও চর্মরোগ জনিত রোগের প্রাদুভার্ব দেখা দিলেও পানির কারনে ডাক্তার দেখাতে ও যেতে পারছেনা গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবী,দুর্ভোগ হলেই লালুয়া ইউনিয়নের মানুষ ভাসে। তাই চারিপাড়া গ্রামের ভাঙ্গা বেরিবাঁধ সংস্কারের উদ্যেগ নেয়া হলে আবার হাসি ফুটে উঠবে সর্বস্ব হারানো মানুষ গুলোর মুখে।
এজন্য সরকারের জরুরী সহায়তা কামনা করছেন লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ১৬ গ্রামের তলিয়ে রয়েছে,পুকুর ডুবে আছে নদীর পানিতে । এ অবস্থায় গ্রামবাসীদের গৃহস্থালি সবকাজ করতে হচ্ছে এই দুষিত পানি দিয়ে। এ কারনে গ্রামবাসী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। চাড়িপাড়া ভাঙ্গা বেরিবাধ জরুরি ভাবে মেরামত না করলে গোটা বর্ষা মওসুমেই এভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হবে গ্রামবাসীদের।