
সরকারি আনুকূল্যে নারী ও শিশু নির্যাতন বাড়ছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতন বেড়েছে। এসব ঘটনার বিচার হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এসব ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
শনিবার (১১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণ ও হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ফাঁসির দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, যখন থেকে আওয়ামীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকে তারা এটা করছে। আর নারী নির্যাতন নির্মূল করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু নির্মূল করা তো দূরে থাক, আমরা অনেক সময় উস্কানি দিতেও দেখেছি। তারা সরকারের আনুকূল্য পাচ্ছে। আর আনুকূল্য পাচ্ছে বলেই এই সামাজিক অপরাধ সরকার ঠেকাতে পারছে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার নারী। অথচ কি দূর্ভাগ্যের বিষয়- পাইকারি হারে নারী নির্যাতন চলছে। যখন থেকে তারা ক্ষমতায় এসেছেন তখন থেকে তারা এটা করছে। আর নারী নির্যাতন নির্মূল করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু নির্মূল করা তো দূরে থাক, আমরা অনেক সময় উস্কানি দিতে দেখেছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রিজভী বলেন, শনিবার সালাউদ্দিন আহমেদের গুম দিবস। আজকে তিনি ভারতে কেনো? কারণ তিনি মেধাবী ছাত্র বলে, তিনি সরকারি চাকরি করতেন, পরে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন এবং কয়েকবার এমপিও ছিলেন। কিন্তু এক অন্ধকারের মৃত্যুকূপের মধ্যে তাকে ফেলে দিয়ে রাখা হয়েছে। আজ সেখানে তিনি এক মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এখন তার নামই হয়ে গেছে গুম সালাউদ্দিন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গত আড়াই হাজার বছরের মধ্যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য পৃথিবীতে একজন জীবন দিয়েছিলেন। তিনি হলেন গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস। তিনি তার কথা ও সত্য উচ্চারণ থেকে দ্বিধান্বিত হননি। আর আড়াই হাজার বছর পর আরেকজন, তিনি হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কারাগারে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন পার করছেন। এরপরও তার মাথাকে নত করা যায়নি।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মামলার বিষয়ে রিজভী বলেন, সব মামলায় টুকু’র জামিন হয়ে গেছে। কিন্তু এরপরও টুকু’র মুক্তি ও নিস্তার নেই। কারণ মুক্তি পেলেই তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবেন। তাই আবারও তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির নেত্রী জেবা খান ও হেলেন জেরিন খান প্রমূখ ।