
বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে। পরে বাম দলের নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে নেতাকর্মীরা। রবিবার (১২ মে) অর্থমন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রাকালে রাজধানীর পল্টন জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
শাহবাগ পেট্রোল ইন্সপেক্টর শেখ আবুল বাশার বলেন, ‘তাদের বিক্ষোভ মিছিল অর্থ মন্ত্রণালয় কেন্দ্রিক। কিন্তু এভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে মন্ত্রণালয় যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাই আমরা পল্টন জিরো পয়েন্ট মোড়ে তাদেরকে বাধা দেই। পরে তারা সেখানে কিছু সময় অবস্থান নিয়ে চলে যায়।’
এর আগে, প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বিপ্লবী ওয়াার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের ঋণ মওকুফ করার জন্য দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে? বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশনা দিয়েছে? আপনি কোন ক্ষমতাবলে, কোন নির্দেশনায় ব্যাংক লুটেরাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন? আমরা এই উদ্যোগের নিন্দা জানাই।’ বাংলাদেশের ব্যাংকের টাকা উড়ে ফিলিপাইনসহ বিদেশের ক্যাসিনোগুলোতে। আর অল্প ঋণের জন্য এ দেশের কৃষককে জেল খাটতে হয়। দেশের বাইরে সেকেন্ড হোমের নামে অর্থ পাচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন গত কয়েকদিন ধরে শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে। গত এক মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকা শেয়ার মার্কেট থেকে তারা সরিয়ে নিয়েছে।
এই দুর্নীতিবাজদের টাকা বাংলাদেশে কোনও ব্যাংকে থাকে না। আপনারা জানেন, কানাডা থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম মনে করে তারা গাড়ি, বাড়ি ও ব্যবসার নাম করে বাইরে পাচার করে। ’
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের থেকে যদি এই ঋণ গুলো উদ্ধার করতে না পারেন তাহলে অনতিবিলম্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করুন। লুটপাটের এই সংস্কৃতি থেকে বাম জোট বাংলাদেশকে বের করে আনতে চায়।’
সমাজতান্ত্রিক দলের আহবায়ক হামিদুল হক বলেন, সরকার যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল করেছেন, সরকার অর্থ পাচারকারীদের জন্য কেন ট্রাইবুনাল গঠন করে না? এই দেশে বছরে ২৫ হাজার বিএমডাব্লিউ গাড়ী কেনা হয় কাদের টাকায় এসব কেনা হয়?
বিক্ষোভ সমাবেশে বাম দলের নেতা কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, মোশারফ হোসেন নান্নু, শাহ আলম, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মানস নন্দীসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।