
এই প্রজন্মের এতো রোগে ভোগার পেছনে ভেজাল খাবার যে দায়ী তা অস্বীকারের সুযোগ নেই। শরীর ঠিক না থাকার পেছনে আমাদের দোষও কম নেই। এই যেমন দেখুন না প্রকৃতি আমাদের হাতে বহু উপাদান তুলে দিয়েছে। তবু আমরা সেগুলি ব্যবহার করি না। ফলে সহজেই নানা রোগ আমাদের ঘিরে ধরে। প্রাকৃতিক এসব উপাদান ব্যবহারে স্বস্তি পেতে পারেন আপনিও।
যা-ই খাচ্ছেন স্বস্তি পাচ্ছেন না হয়তো। কেননা হজম প্রক্রিয়ার কোনো একটা গোলযোগ ঠিকই টের পাচ্ছেন। অথচ ছোট্ট এ সমস্যার জন্য ডাক্তারের কাছে ছুটে যেতেও দ্বিধা কাজ করছে। সেক্ষেত্রে জেনে রাখতে পারেন কিছু সমাধানের উপায়, যা আপনার রান্নাঘরেই খুঁজে পাওয়া যাবে—
মরিচ
ঝাল খেতে ভালোবাসেন যারা, তারা একটু নড়েচড়ে বসতে পারেন। কেননা ঝালের উৎস হিসেবে সুপরিচিত মরিচ। আর এ মরিচেই নাকি রয়েছে হজমশক্তি বাড়ানোর উপাদান। অবাক লাগলেও এটাই সত্য, হজমের সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে মরিচ। এটি মূলত লালাপ্রবাহ বাড়ায় এবং পাকস্থলী থেকে পাচক তরলের স্রোত বৃদ্ধি করে। এমনকি কোলন, শ্বাসযন্ত্র, ফুসফুস ভালো রাখতেও মরিচের ঝাল বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আদা
হজমক্ষমতা বাড়াতে আদাও বেশ ভালো সমাধান। এটিকে বলা হয় হজম সমস্যা সমাধানের অন্যতম প্রাকৃতিক উপাদান। এছাড়া অভ্যন্তরীণ যেকোনো জ্বালাপোড়া কমাতে যেমন সক্ষম, তেমনি রক্তের প্রবাহ বাড়াতেও আদার জুড়ি নেই। হজমশক্তি বাড়ানো ছাড়াও অনেক কাজের কাজি আদা। আপনার যদি মোশন সিকনেস থাকে, তাহলে ভ্রমণে বের হওয়ার আগে এক কাপ আদা চা পান করে নিতে পারেন। এতে সমস্যার সমাধান মিলবে।
দারচিনি
যেকোনো খাবারে চমত্কার ঘ্রাণ তৈরি করে দিতে দারচিনির বিকল্প উপাদান কমই আছে। তাই তো কেউ কেউ মাঝে মধ্যেই শখ করে চায়ের মধ্যেও কয়েক টুকরা দারচিনি দিয়ে দেন। শুধু ঘ্রাণের জন্যই না, বরং হজম শক্তি বাড়াতেও দারচিনি বেশ কাজের। তাই হজম সমস্যায় ভুগছেন যারা, তারা দারচিনি মেশানো চা কিংবা কুসুম গরম পানিতে দারচিনি ভিজিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পেতে পারেন। সূত্র: মাদার আর্থ লিভিং