
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (৩ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে সাক্ষীদের জবানবন্দি ও জেরা থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাসহ অন্যান্য আসামির মামলায় আপিল বিভাগের রায় থেকে নানা উদ্ধৃতি দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন গত সোম ও মঙ্গলবার যুক্তিতর্কে বলেছিলেন, আজহারকে রাজনৈতিক কারণে আসামি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছিল। তাদের ক্ষমা করে দিয়ে সহযোগী আসামিদের বিচার করা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ যুক্তির জবাব দিয়ে বলেন, এটি আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ফলে এ যুক্তির নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ নেই।
গত ১৮ জুন আজহারের আপিলের শুনানি শুরু হয়। ২৬ জুন আপিল বিভাগ পেপারবুক পড়া শেষে ১ জুলাই যুক্তিতর্কের শুনানি শুরু হয়। এর আগে গত ১০ এপ্রিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আনা ১ নম্বর অভিযোগ বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ে।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে এ টি এম আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন।