
বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় বাঁধসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আগামীতে বাঁধগুলো মজবুত করে নির্মাণ করা হবে যাতে ভাঙ্গনের হাত থেকে বাঁধ ও সম্পদ রক্ষা পায়। তিনি বলেন, এবারের বন্যায় গাইবান্ধায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ৩৭টি পয়েন্টে পানির স্রোতে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া অংশে জরুরী পূনঃ সংস্কারের কাজের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এসব ভাঙ্গন ক্লোজ করা হবে। তিনি বলেন, আগামীতে এই ধরণের কোন ভোগান্তি হবে না।
তিনি আরও বলেন, আগষ্ট মাসে আর একটি বন্যা দেখা দিতে পারে সে জন্যে সরকার প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি আশা করি আগামীতে এই ধরণের ভোগান্তি হবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দ্দেশনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সকলকে ত্রাণ পৌছনো হয়েছে এসব ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে। যাদের ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদেরকে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে এবং কৃষকদের কৃষি পূর্নবাসনে আওতায় আমন চারাসহ বীজ ও সার বিনামূল্যে দেয়া হবে।
তিনি গাইবান্ধা শহরের ঘাঘট নদীর গোদার হাট বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পূনঃ সংস্কার কাজ ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে একথা বলেন। এসময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো: মোস্তাফিজার রহমান, প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রশাদ ঘোষ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আলমগীর কবির, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মোখলেছুর রহমান, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু প্রমুখ।
এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ফুলছড়ি উপজেলার চন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।