
আইএনএফ চুক্তি প্রত্যাহারের পর ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে কোনো বাধা না থাকায় নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘোষণা দেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি আগ বাড়িয়ে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ না করে তবে অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 'রয়টার্স'
গত মাসে স্নায়ুযুদ্ধকালীন হওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া মধ্যবর্তী-রেঞ্জ পারমাণবিক বাহিনী (আইএনএফ) চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।
রাশিয়ার ফার ইস্ট একটি অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, মস্কো যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্বের স্নায়ু যুদ্ধকালীন স্প্রিলিং অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল, কিন্তু ওয়াশিংটন এর প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গৃহীত সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার ভূখণ্ডের কিছু অংশ জুড়ে থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া।
গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩২ বছর পর একটি কনফিগার করা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় যা ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি আইএনএফের আওতায় নিষিদ্ধ ছিল। আইএনএফের চুক্তিতে ৩১০ থেকে ৩৪০০ মাইল দূরত্ব পর্যন্ত স্থল-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এর ফলে উভয় দেশের পারমাণবিক হামলা চালুর ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছিল।
পুতিন ভ্লাদিভোস্টক শহরে একটি অর্থনৈতিক ফোরামের ওই বিবৃতিতে বলেন, 'অবশ্যই আমরা এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করব তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি আগে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন না করে তবে আমরাও কোনো নতুন মিসাইল স্থাপন করব না।'
পুতিন আরও বলেন, 'আমরা পেন্টাগনের প্রধান বলেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে চাওয়াতে আমরা অসন্তুষ্ট। এটি আমাদের জন্য দুঃখ এবং কিছুটা উদ্বেগের কারণ।'