
নাটোর সুগার মিলসকে লাভজনক করতে অবৈধ পাওয়ার ক্রাসারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত পরিমাণে আখ সরবরাহের লক্ষ্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে সুগার মিল কর্তৃপক্ষ।
এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১২টি স্থানে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে নাটোর সুগার মিলস কর্তৃপক্ষ। এসব অভিযানে জব্দ করা হয় পাঁচটি অবৈধ পাওয়ার ক্রাসার ও যন্ত্রাংশ।
নাটোর সুগার মিল সূত্রে জানা যায়, মিলের নিজস্ব খামারে উৎপাদিত আখসহ এ বছর মিল জোনে এক লাখ ৬৩ হাজার মেট্রিক টন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করতে চায় সুগার মিল কর্তৃপক্ষ। এই লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছরের নভেম্বর মাসের শুরুতেই সুগার মিলটি আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু করবে। ফলে কেউ যেন মিল জোন এলাকায় অবৈধ পাওয়ার ক্রাসারে আখ মাড়াই করতে না পারে সেজন্য সময় মতো চাষিদের টাকা পরিশোধ, পাওয়ার ক্রাসারে আখ মাড়াই না করাসহ জনসচেতনতায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ।
এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি নলডাঙ্গা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও নাটোর সুগার মিলস কর্তৃপক্ষ। পৃথক এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন নলডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বি এবং নাটোর সুগার মিলসের (বিএসএফআইসি) উপপ্রধান (প্রশাসন) মেহরাব হুসেইন। এছাড়া উপপ্রধান (এ্যাগ্রোনমি) ফারুক আহমেদ, নলডাঙ্গার সাবজোন প্রধান আব্দুল কুদ্দুস সুমন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে পৃথক ১২টি স্থান থেকে পাঁচটি অবৈধ মাড়াইকল ও প্রচুর যন্ত্রাংশ জব্দসহ ১৬০ কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করা হয়। পরে ভেজাল খাদ্যদ্রব্যগুলো ধ্বংস করা হয়। এছাড়া, খাদ্যে ব্যবহৃত বিষাক্ত হাইড্রোজ ও রাসায়নিক দ্রব্যাদি জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে নাটোর সুগার মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম জিয়াউল ফারুক বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান রক্ষার স্বার্থে, সরকারি নির্দেশ ও আইন অনুযায়ী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, মিল জোন এলাকায় পাওয়ার ক্রাসারে আখ মাড়াই করে গুড় তৈরি ও পরিবহন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজের স্বাক্ষরিত প্রচারপত্র সাধারণ মানুষদের মধ্যে বিলি করা হয়।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের ২৯ জুন প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মিল জোন এলাকায় শক্তিচালিত মাড়াইকলে আখ মাড়াইয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ আখ মাড়াই করলে জেল-জরিমানার ঘোষণাও দিয়েছে প্রশাসন।