
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) শাসক এবং বিরোধী দলের বিধায়কদের একে অপরের দিকে রীতিমতো তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছে। শেষমেশ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ওই দিনের প্রশ্নোত্তর পর্বে। মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে তার দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি শুভেন্দুকে প্রশ্ন করেন, 'বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে যে, পরিবহণ দপ্তরে ৩-৪ লাখ টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এটা কি সত্যি?'
বিধানসভায় উপস্থিত এক বিধায়কের তথ্য মতে, এই প্রশ্ন শুনেই নিজের আসনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রতিমা রজকের উদ্দেশে বলেন, 'এ রকম কোনো অভিযোগ থাকলে আপনি প্রমাণ করুন। যদি না করতে পারেন তা হলে এখানেই ক্ষমা চান।'
এরপর প্রতিমাকে উদ্দেশ করে শুভেন্দু আরও বলেন, গোটা মুর্শিদাবাদ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেই। পরের নির্বাচনে আপনি হারবেন।
শুভেন্দুর এসব কথায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। তিনি নিজের আসন থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে তাকে থামাতে গিয়ে সামান্য আঘাত পান সূতির বিধায়ক হুমায়ুন রেজা।
কমলেশ এর পর হুমায়ুন রেজাকে টপকে বেরিয়ে আসেন এবং মন্ত্রীর দিকে ছুটে যান। তাকে ছুটতে দেখে নিজের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শাসক দলের বিধায়করা। কমলেশের সঙ্গী হন অন্য কংগ্রেস বিধায়করা যোগ দেন বাম বিধায়করাও। রীতিমতো হাতাহাতির উপক্রম হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ওভালে নেমে আসেন মমতা। বিরোধী দলের বিধায়কদের নিজের আসনে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং নিজের দলের বিধায়কদের ধমক দিয়ে নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে বলেন। তার হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়।