
মাদকের জোয়ারে ভাসছে গোটা বরিশাল। অলিগলিতেও এখন মাদকের ছড়াছড়ি। মরণনেশার বিষে নীল হচ্ছে বহু মেধাবীর জীবন। অকালেই ঝরে পড়ছে জাতির ভবিষ্যত কর্ণধাররা। দিন দিনই বাড়ছে মাদকের আগ্রাসন। যদিও কেউ কেউ অন্ধকার ছেড়ে ফিরছেন আলোর পথে। প্রশাসন জানিয়েছে, মাদকের বিস্তার ঠেকাতে তৎপর তারা। মাদকের আগ্রাসন থেকে বরিশালকে মুক্ত প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ যেন মাদকের স্বর্গরাজ্য। বরিশাল নগরীর অলিতে-গলিতে হাত বাড়ালেই মেলে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, প্যাথিডিন কিংবা গাঁজার মত সব মাদক। কখনও অন্ধকার আবদ্ধ ঘর কখনও খোলা ময়দান। সবখানেই যেন মাদকসেবীদের অবাধ বিচরন।
তরুণরা কেন ঝুকছে মাদক সেবনে? এমন প্রশ্নের জবাবে মাদকসেবীদের বক্তব্য, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তার কারণে অনেকেই বেছে নিয়েছে এই পথ। সুশিল সমাজ প্রতিনিধিরা বলছেন, মাদকের ছোবলে কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে যুবসমাজ। তাই, এখন-ই তাদের ফিরিয়ে আনতে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।
গত তিন বছরে বিভিন্ন নিরাময় কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিয়ে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরেছেন অনেকেই। বরিশালে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর কথা বলছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের হিসেবে, বরিশাল শহরে সরকার অনুমোদিত দেশী-বিদেশী মদ বিক্রির বার আছে দুটি। যেখানে প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করেন ৮০২ জন। আর, অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী আছেন আরও অন্তত পাঁচ’শ।