
চিটিডা লিকতি যাইয়ে দুক্কি পরানডা ফাইটে যাচ্চে। যাগের ছাবাল মাইয়ে আছে, তারাই এর মরমো বোঝবে। বুয়েটের মিধাবী ছাত্তর আবরাররে বাড়োয়ে মাইরে ফেলা হয়েছে। যারা মাইরেচে তারা বাইরির কেউ না। একই বিশ্ববিদ্যালয়তি পড়ে। তফাত হচ্চে যে মার খাইয়ে মইরেচে সে দলদারী করে না। আর যারা মাইরেচে তারা দলদারী করে।
এট্টা ছাবালরে বুয়েট পন্তিক পাটাতি মা বাপের কত কষ্ট আর ত্যাগ স্বীকার কত্তি হয় তা যারা করে তারাই জানে। হটাস কোন দূরঘটনায় মইরে গেলি তাও এট্টা জানে বুঝ থাকে। কিন্তুক জলজ্যান্ত এট্টা জুয়ান ছাবালরে ডাইকে নিয়ে যাইয়ে ঘরের দরজা বন্দ কইরে দিয়ে আট দশ জনে যদি এক সাথে বাইড়োনো হয়, তালি কত কষ্ট পাইয়ে তার জানডা বারোয় গেচে ভাবদি চোকি পানি চইলে আসতেচে। মানুষ ইরাম নিষ্টুর কিরাম কইরে হয়! শিবির সন্দেহ কইরে বাইড়োনো হয়েচে ইডা নিতাগের কতা। চোকির সুমকি ইরাম খুন হবে নিতারা কবেন বিষয়ডা খতায় দেকতেচি! তারপর কবেন দলের মদ্দি অনুপ্রবেশকারীরা এই কাজ কইরেচে! কয়দিন বাদে কবে ইরা দলের কেউ না, ইরা বিরোদীদলের লোক দলের বইদরাম করার জন্যি এই খাইন বাদায়েচে! ছল্লিবল্লি কইরে ঘটনাডারে ধামাচাপা দিয়ে দেবে। আর আমাগের দেশের লোকের আবেগও ঠুনকো। এট্টা ঘটনার পর আরাট্টা ঘটনা সুমকি আসলি পাছেরডার কতা আর মনেই থাকপেনা। স্মিতির তলে হারায় যাবে ইরাম ঘটনা।
কিন্তুক বিবেকের আদালোতে এট্টা পোশ্ন রাকলাম, সন্দেহ কল্লিই কি এট্টা মানুষরে বাড়োয় মারা যাবে? দেশে কি কোন আইন কানুন নেই? পিরায় শুনা যায় রোহিঙ্গা সন্দেহ কইরে পাগল আর মাতায় সমিস্যায়ালা মানুসগুলোরে পিটোয়ে পাটায় ফেলতেচে। ছাবাল ধরা সন্দেহ কইরে বাইড়োয়ে লোক মাইরে ফেলতেচে। গুজব ছড়ায় দিয়ে নানা রকম সন্দেহ কইরে ধমাধম বাড়োয়েই জ্যান্ত লোক মারার যে অভ্যেস দাড়ায় যাচ্চে, ইডা কি কোন সভ্য সমাজে হওয়া সম্ভব?
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩