
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডে হল প্রশাসনের গাফিলতি ছিল। বুয়েটসহ যেকোন ক্যাম্পাসে এটা সাংগঠনিক সমস্যা নয়, গুটিকতক ব্যক্তির সমস্যা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশ মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন লেখক ভট্টাচার্য।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রত্যেকটি ইউনিটের সাংগাঠনিক নেতারা, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে সংগঠনে অনুপ্রবেশকারীদের যাচাই-বাছাই শুরু করেছি। দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, আবরার হত্যাকাণ্ড পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় প্রদানের পরও এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার সাংগঠনিক অবস্থান পরিষ্কার করার পরেও কিছু কুচক্রী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, বিভিন্নভাবে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা, দেশবিরোধী চুক্তির ধোঁয়া তুলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও কটুক্তিমূলক বক্তব্য প্রদান প্রভৃতির মাধ্যমে কতিপয় নামসর্বস্ব, কর্মী ও কর্মসূচী বিহীন, ব্যানার নির্ভর ছাত্র সংগঠন ও সেসব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, ধারাবাহিক উস্কানির মাধ্যমে যে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে, বিগত ১১ বছরে সেশনজটবিহীন নির্বিঘ্ন শিক্ষা পরিবেশ বিনষ্টের যে ষড়যন্ত্র রচনা করছে তা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনমতেই মেনে নিতে পারে না। দেশের ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে এসব হীন কর্মকাণ্ড সর্বাত্মকভাবে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
গেস্টরুম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, গেস্টরুম ভালো সংস্কৃতি। এখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনেক নিয়ম-কানুন শেখানো হয়। ছাত্রলীগ এটাকে পজিটিভ হিসেবেই দেখছে। গেস্টরুমে নেগেটিভ কিছু অত্যন্ত কম হয়। ভালো কিছু শেখানো হয়।
এসময় আবরার হত্যার ঘটনার জন্য লজ্জা ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে ছাত্রলীগ প্রশ্রয় দেয়নি।
সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বাইরে ব্যক্তিগত কোন কিছুর দায় সংগঠন নেবে না বলেও জানান নাহিয়ান খান জয়। এমনকি সংগঠনের ভেতরে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে নজারদারী অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসময় এজাহারভুক্ত ১৯ জনের বাইরেরও যদি কেউ থাকে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের দাবি জানান জয়।