
আসাম রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) শিলিগুঁড়িতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় মমতা আরও বলেন, যেহেতু এনআরসি হবে না, তাই পশ্চিমবঙ্গে বন্দিশিবিরও নিষ্প্রয়োজন। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভির’
শিলিগুঁড়ির ওই অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধীকরণ বা কথিত চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা চালু করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। তাই এখানে বন্দিশিবির তৈরির কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের অবস্থান সরকারের এসব পরিকল্পনার বিরুদ্ধে।
ভোটার তালিকা থেকে যাতে অকারণে কারো নাম বাদ দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে সর্তক করে দিয়ে মমতা বলেন, যারা বাংলায় থাকেন, তাদের একজনের নামও যেন ভোটার তালিকা থেকে বাদ না যায়। এই রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প (অনাগরিক বন্দি শিবির) হচ্ছে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, শুধু এনআরসি নয়, তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলেরও (সিএবি) বিরোধিতা করছেন। ওই বিলটির মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া সব অমুসলিমদের দেশটির নাগরিকত্ব দিতে চায় ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি।
মমতার ভাষায়, জাতীয় নাগরিক তালিকার পাশাপাশি আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলেরও বিরোধিতা করছি। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব কখনোই সম্ভব নয়। কে ভারতীয়, আর কে বিদেশি ধর্মের ভিত্তিতে সেটা নির্ধারিত হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি ভারতের লোকসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল। তবে মূলত তৃণমূলের নেতাদের বিরোধিতার কারণে রাজ্যসভায় এখনো পর্যন্ত এটি পাস করাতে পারেনি মোদী সরকার।