
ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচল করছে মৈত্রী এক্সপ্রেস, আর খুলনা-কলকাতা রুটে চলছে বন্ধন এক্সপ্রেস। এবার রাজশাহী-কলকাতা রুটে চালু হচ্ছে ট্রেন সার্ভিস। গতকাল রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে রাজশাহী থেকে মালদহ হয়ে কলকাতা পর্যন্ত একটি আন্তঃদেশিক ট্রেন চালু করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। উভয় পক্ষের আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ ওয়ার্কি গ্রুপ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। গতকাল রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান ভারতীয় অর্থায়নে যেসব প্রকল্প চলছে সেগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়াও রেলপথ মন্ত্রীর ভারত সফরে যে সকল বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল সেসব বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে ভারতের পক্ষ থেকে একটি ছোট্ট আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে আলোচনায় বলা হয় সিরাজগঞ্জ বাজারে একটি ছোট্ট পরিসরে আইসিডি নির্মাণ করা হবে। ভারত থেকে ২০টি লোকোমোটিভ সরবরাহ বিষয়ে বলা হয়, কারিগরি দল পরিদর্শন করে বিভিন্ন শর্তাবলী ঠিক করে ইঞ্জিনগুলো দ্রুত আনার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
এলওসি এর অর্থায়নে চলমান তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প খুলনা-মংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় চতুর্থ রেললাইন এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প বিষয়ে এবং সৈয়দপুর ও পাহাড়তলী ওয়ার্কসপ আধুনিকায়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রকল্পগুলো ভারতীয় ঠিকাদার এবং কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ল?ক্ষ্যে আলাদা বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো শামসুজ্জামানসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ভারতীয়
হাইকমিশনার ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রেলওয়ে উপদেষ্টা মিসেস অনিতা বারিকসহ তিন জন প্রতিনিধি এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।