
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের ভেতরের দূষিত রক্ত ফেলে দিয়ে বিশুদ্ধ রক্তের সঞ্চালন করতে হবে। গুটিকয়েক খারাপ লোকের জন্য গোটা আওয়ামী লীগ বদনামের ভাগিদার হবে না। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন হচ্ছে। ১০টা উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে যদি একটা খারাপ আচরণ হয়।
সামান্য কারণে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে শাহ আমানত সংযোগ সেতু সংলগ্ন কালামিয়া বাজারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এই উষ্মা প্রকাশ করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ত্যাগী ও নিবেদিত। কিন্ত সামান্য কারণে তারা একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের প্রয়াত নেতার আত্মা কষ্ট পান। রাজনীতিতে শিষ্ঠাচার থাকতে হবে। জুনিয়র নেতাকর্মীরা সিনিয়রদেরকে সম্মান শ্রদ্ধা করবে। সিনিয়ররা জুনিয়রদেরকে স্নেহ ভালবাসা দেবে-এটাই দরকার।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। যারা কলহপ্রিয়, দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, অপকর্মকারী তাদের অপকর্মের দায় দল নেবে না। খারাপ লোকের জন্য দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। একটা খারাপ কাজ অনেকগুলো ভাল কাজকে ম্লান করে দেয়। অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান চলমান রয়েছে। পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, যারা রাজনীতিকে মানি মেকিং মেশিন মনে করে, টাকা দিয়ে যারা পদ বেচাকেনার রাজনীতিতে বিশ্বাসী, তাদের কাছ থেকে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুরা থাকতেন যোজন দূরে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংসদ ড. আবু রেজা মো নদভী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদসহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।