
সৌদি আরবে করোনায় আক্রান্তদের জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটির ওলামাগণের পরামর্শক্রমে এই সিদ্ধান্ত বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে ঘরের মধ্যে নামাজ আদায় করবেন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা। করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানিয়েছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্যরা আক্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে ঘরে বসে জোহরের নামাজ পড়ার অনুমোদন শরীয়তে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। করোনার সংক্রামনরোধে আক্রান্তদের প্রতি ওয়াক্তের নামাজও একাকি স্থানে অথবা নির্দিষ্ট স্থানে আদায় করার পরামর্শ দিয়েছেন সৌদি ওলামাগণ।
সৌদি আরবে এ পর্যন্ত পয়তাল্লিশ জনকে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই মিশরীয় নাগরিক। করোনার বিস্তাররোধে ব্যাপক শতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দেশটি। সকল মসজিদে ওয়াক্তের নামাজ প্রতি ওয়াক্ত দশ মিনিটের ও জুমার নামাজ পনের মিনিটের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। একে অপরের সাথে হ্যান্ডশেক থেকে বিরত থাকতে ও কোনো সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে ৫০জনের অধিক সমাগম না হতে পরামর্শ দিয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তুতিমূলক প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানায় রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম।
সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৯৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার ৩৮৫ জন (মোট আক্রান্তের ৯৪ শতাংশ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া ৫৯ হাজার ৩৯৯ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাংলাদেশে প্রথম তিন জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। দুইজন বাড়ি চলে যাওয়ার মতো অবস্থায় আছেন।