
বাংলাদেশে থাকা ইউরোপের নাগরিকরা চাইলে চার্টার প্লেনে দেশে যেতে পারবেন। আমরা ঢাকার ইউরোপীয় মিশনগুলোর রাষ্ট্রদূতদের জানিয়েছি, তারা চাইলে চার্টার প্লেনে তাদের নাগরিকদের পাঠাতে পারবেন। আমরা সেই অনুমতি দেবো।
রোববার (২২ মার্চ) ইউরোপীয় দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের কথা বলেন।
ইউরোপীয় কূটনীতিক, তাদের পরিবার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশের নাগরিকরা নিজ নিজ দেশে ফেরার উপায় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের করোনা সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব ডা. খলিলুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। এমন সিদ্ধান্তে ইউরোপিয়ান দেশের কূটনীতিক, তাদের পরিবার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরার বিষয়ে সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের বিকল্প উপায়ে দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্য দেশগুলো।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ইউরোপীয় দেশের কূটনীতিকরা চাইলেই দেশে ফিরতে পারবেন। যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড ও হংকংয়ে চার রুট চালু রাখা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন হলে ওই রুটগুলো ব্যবহার করা যাবে। তারা যেতে চাইলে এই পদ্ধতিতে দেশে ফিরতে পারেন।
এ সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বিদেশে মারা গেলে সেখানেই দাফনের অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় মরদেহ সহজেই দেশে আনা সম্ভব নয়। এছাড়া মরদেহ আনতে খরচও অনেক বাড়বে।
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, চীন থেকে করোনা শনাক্তে কিট ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আনতে চার্টার ফ্লাইট খোঁজা হচ্ছে। আমরা চীন দূতাবাসকে জানিয়েছি, চার্টার ফ্লাইটে আনলে দ্রুত আনা সম্ভব।