
কেশবপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধসহ এডিস মশা নিধনে পৌরসভার উদ্যোগে ব্যাপক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। এডিস মশার ডিমনাশক ওষুধ বায়োলার্ভ জার্মানি থেকে আমদানি করে লার্ভা নির্মূল করার জন্য পৌর এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে ছিটানো হচ্ছে। গত বছর এ উপজেলা ডেঙ্গুপ্রবন এলাকা চিহ্নিত হওয়ায় পৌরসভা এবার আগে থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করেছে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পৌরসভা ৯টি কমিটি গঠন করে প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রত্যেক ওয়ার্ডে খারযুক্ত জীবানুনাশক সাবান ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাউন্সিলর, রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বেয়ে গণসংযোগ, মাইকিং ও ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ আইসোলেশন সেন্টার নির্ধারণ করা হয়েছে।
পৌর এলাকার জনগণের নিরাপত্তাকালীন ৫টি চালের আড়ৎ, ২টি মুদি দোকান ও ১০টি কাঁচামালের দোকান নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে জরুরি খাদ্য সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। এ ছাড়াও সোমবার থেকে পৌর এলাকার নিম্ন আয়ের ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে চাল, ডাল, তেল ও লবণ বিতরণ করা হবে।
পৌরসভার অফিস সূত্রে জানা গেছে, গরমের শুরুতেই এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। বিষয়টি উপলদ্ধি করে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এডিস মশা নিধনে কিংফগ নামক ওষুধ ফগার মেশিন দিয়ে ছিটানো হচ্ছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া পৌর এলাকার ড্রেন ও নর্দমা পরিষ্কারও করা হয়েছে।
কেশবপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন গ্রামের কাগজকে বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে আগেভাগেই এডিস মশার লার্ভা নির্মুলে উদ্যোগ নেয়ায় কেশবপুরে লার্ভার বিস্তার ঘটেনি। পৌরসভার এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম গ্রামের কাগজকে বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ৯টি ওয়ার্ড কমিটির সহযোগিতায় প্রতিটি ওয়ার্ডে হ্যান্ড মেশিনের সাহায্যে জীবানুনাশক ওষুধ ছিটানো অব্যাহত রয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে খারযুক্ত জীবানুনাশক সাবান ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাউন্সিলর, রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়ে গণসংযোগ, মাইকিং ও ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।