
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাজশাহী নগরীসহ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। কিন্তু সেই লকডাউন মানছেন না রাজশাহী নগরীর বাসিন্দারা। বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ থাকলেও মঙ্গলবার সকালে নগরীতে দেখা গেছে বেশকিছু অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের মতো যানবাহন। এবং বাজারে জনসমাগম।
নগরীর নওদাঁপাড়া এলাকা পুলিশ চেকপষ্ট বসিয়ে নওগাঁ থেকে যে সব অটো রিক্সা আসছে নগরীর ভিতরে ঢুকার চেষ্ট করছে তাদেরকে তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে।
নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় সেনাবাহিনী প্রত্যক গাড়িকে থামিয়ে প্রশ্ন করছেন, সে কোন কোথায় যাচ্ছে। নগরীতে প্রশাসন তৎপর দেখা গেলেও জনগনের মধ্যে সচেতনতা দেখা যায়নি।
এ সময় সাহেব বাজার ও আরডিএ বাজারের সামনে বেশ ভিড়ও লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি অনেকেই পায়ে হেঁটেও বের হন বাড়ি থেকে নানা কাজে।
তবে যারা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তাদের দাবি কেউ পেটের দায়ে আবার কেউ জরুরী প্রয়োজনে বের হচ্ছেন।
মঙ্গলবার নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সরজমিনে দেখা যায় বেশকিছু যানবাহন চলাচল করছে সমানে। যেন কোনো বাধা ছাড়ায়। এর মধ্যে অটোরিকশা আর মোটরসাইকেলই বেশি।
অটোরিকশা চালক রাহেন বলেন, ‘ভাইরে কতদিন বাড়িতে বসে থেকে খাবো? আমাদের তো বসে থেকে খাওয়ার মতো টাকা নাই। আবার কাজ করে সংসার চালাতে পারি বলে কেউ ত্রাণও দেয় না। তাহলে পেট চলবে কি করে? তাই বাধ্য হয়ে ভয় থাকার পরেও পেটের দায়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছি।’
তার মতো অন্য অটোরিকশা চালকদেরও সাফ জবাব, আমাদের তো কেউ ত্রাণ দেয় না। তাহলে খাবো কি? কাজ না করলে খেতে পাবো না, তাই অটোরিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি জীবনের ঝুঁকির পরেও।’
অন্যদিকে দিকে নগরী বখতিয়ারাবাদ মালদাহ কলোনি কাঁচা বাজারে দেখা গেলে ভিন্ন চিত্র। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে দেদারশে চলছে হাট বাজার রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া সালবাগান, নিউমাকের্ট, সাহেব বাজারের কাঁবাজার এ দৃশ্য আর চোখে পড়েনি। মালদাহ কলোনি কাঁবাজরে লকডাউন কোন বালা নেই। যে ভাবে মানুষ বাজার করছে এতে করে করোনা সংক্রমনে সম্ভবানা রয়েছে। খুব দুরত্ব ব্যাবস্থা নেওয়ার দরকার।
এলাকারর সচেতন একজন রাশেদুল জাামান রাশেল তার ফেসবুকে লিখছেন
সকলের করোনা ভাইরাস থেকে সচেতন থাকতে আমাদের নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে চলাফেরা করতে হবে, নিজে সর্তক থাকুন অন্যকে ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিন। এভাবেই বখতিয়ারাবাদ মালদাহ কলোনি কাঁচা বাজারে করোনাভাইরাস সচেতনে নিয়মবিধি মানছে না কেউ, তাই ১৬ নং ওযার্ড কাউন্সিলর সহ সাধারণ এলাকাবাসীকে করোনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। কাউন্সিলর এর কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ বাজারের পরিস্থিতি একটু বিবেচনা করে যেন বাহিরের অপরিচিত লোকজন বাজারে এসে পরিবেশ বজাই রাখে সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
জনসচেতনায় এই লিখা অনেক কিছু ইংগিত করছে। সামাজিক দুরুত্ব বজায় না রেখে বাজার করা। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বাড়ির বাহির হয়ে কাঁবাজারের আড্ডা মারছে। ফলে বাজারে জনসমাগম বেড়ে যাচ্ছে। খুব দ্রুত ব্যাবস্থা না নিলে করোনা সংক্রম হয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।