
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব) আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করার জন্য বুধবার (৮ এপ্রিল) আদালতে ‘মৃত্যুদণ্ড পরোয়ানা’ জারির আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মাজেদ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার অনুপস্থিতিতে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায় চূড়ান্ত হয়েছে। ১৯৯৮ সালের রায় ঘোষিত হওয়ার পর ২২ বছর পলাতক ছিলেন। এখন আর তার আপিল করার কোন সুযোগ নাই।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার ঢাকার জেলা জজ আদালতে তার ‘মৃত্যুদণ্ড পরোয়ানা’ জারির আবেদন করব। আদালতে মৃত্যুদণ্ড পরোয়ানা জারি করার পর জেল কর্তৃপক্ষ ২৮ দিনের মধ্যে রায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, মাজেদ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার অনুপস্থিতিতে বিচারের সকল প্রসিকিউটর এগজস্ট হওয়ায় তার আর আপিল করার সুযোগ নাই। আপিল দায়ের করার সময়সীমা তামাদি হয়ে গেছে।
তবে তাদের মতের সাথে ভিন্নতা প্রকাশ করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন্। তিনি বলেন, কোন আসামিকে ধরে নিয়েই ফাঁসি কাষ্ঠে ঝোলানো যায় না। আপিলের সুযোগ পাওয়া একজন আসামির অধিকার।
সময় তামাদি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আসামি উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তামাদি সময় মওকুফের আবেদন করতে পারবেন। আবেদন মওকুফ করা না করার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। এরপর রিভিউ আছে। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি আছে। আসামিকে এ সুযোগ দিতে হবে।